বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে (koushani mukherjee) নিয়ে বিক্ষোভ টলি ইন্ডাস্ট্রির হেয়ার ড্রেসারদের। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গেল অভিনেত্রীর শুটিং। নতুন করে কৌশানির সঙ্গে কোনো হেয়ার ড্রেসার কাজ করতে রাজি হবে কিনা বা তাঁর শুটিং নতুন করে শুরু করা যাবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
ঠিক কী কারণে এই বিক্ষোভ? জানা গিয়েছে, পৈলানে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করছিলেন কৌশানি। এতদিন টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির হেয়ার ড্রেসাররাই তাঁর সাজসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনের জন্য কলকাতার বাইরে থেকে হেয়ার ড্রেসাররা আনান কৌশানি। তাতেই ক্ষুব্ধ হন টলি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত হেয়ার ড্রেসাররা। আর সেখান থেকেই শুরু বিক্ষোভ।
কিন্তু হঠাৎ করেই এতদিন পর কৌশানি কলকাতার বাইরে থেকে হেয়ার ড্রেসার কেন আনাতে গেলেন তা ঠিক জানা যায়নি। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই বক্তব্য, এতদিন পর আবার ফ্লোরে শুটিংয়ের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। অনেকদিন পর আবার মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার ড্রেসাররা রোজগারের মুখ দেখেছেন। এমন অবস্থায় যদি কৌশানি কলকাতার হেয়ার ড্রেসারদের সুযোগ দিতেন তবে তারাও আয়ের সুযোগ পেতেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৌশানি। কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বিজেপির প্রার্থী মুকুল রায়ের কাছে হেরে যায়। যদিও হারের ধাক্কা সামলে ফের নিজের পুরনো রূপে ফিরে এসেছেন কৌশানি। বেশ কিছুদিন পর আবারো গ্ল্যামারাস লুকে হাজির হয়েছেন তিনি। একটি কালো শর্ট ড্রেসে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অভিনেত্রী। যে ছবি দেখে প্রেমিক বনির মন্তব্য, ‘আয়ে হায়ে হিরোইন ইজ ব্যাক’।
কৌশানি উত্তর দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, ফিরে আসছি’। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়িত্বকেও দূরে সরিয়ে রাখেননি কৌশানি। নির্বাচনে হারলেও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে চালু করেছেন ‘অপরাজিতা কিচেন’। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন তিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই এই কিচেন চালু করেছেন বলে জানান কৌশানি।