বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর কুড়ি পর আফগানিস্তানে ফিরছে সেই ভয়াবহ তালিবানি শাসন। মাত্র এক দিনে যেভাবে কাবুলের দখল নিল তালিবান তা দেখে হতবাক গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই সাধারন নাগরিক তথা মহিলাদের জন্য জারি হয়েছে একাধিক ফতোয়া। রাজনৈতিক মহলের চর্চার কেন্দ্রে এখন শুধুই আফগানিস্তান। এমতাবস্থায় ভারতের অবস্থান কী হতে পারে তা নিয়ে নিজ নিজ মতামত জানালেন রাহুল (rahul banerjee), রুদ্রনীল (rudranil ghosh), কমলেশ্বররা।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি টিভি দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন। এই ভয়াবহতা, আতঙ্ক আর দেখতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দ্য ডুমস ডে ইজ নট ফার। এই বর্বরতার শেষ কোথায় জানা নেই। আমার তো মনে হয় আফগানিস্তানের এই সংকটে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত এবং দরকার পড়লে বর্ডার খুলে দেওয়া উচিত।”
রুদ্রনীল ঘোষের বক্তব্য, কোনো ধর্মগ্রন্থে মানুষকে অসম্মান করার কথা, মানুষের ক্ষতি করার লেখা নেই। অভিনেতা বলেন, কোনো দেশের মানুষই এমন কোনো শাসককেই চান না যে কিনা মানুষকে শোষন করবে, বিশেষত মহিলাদের অসম্মান করবে। তবে আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের ব্যাপারে রাহুলের সঙ্গে কিছুটা মত পার্থক্য রয়েছে রুদ্রনীলের। তাঁর কথায়, “আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে কূটনৈতিক বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই তাই মন থেকে চাইলেও অনেক কিছু করা যাবে না। সারা বিশ্বের দেশগুলির আফগানিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কূটনৈতিক যা যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনেই ভারতকে পদক্ষেপ করতে হবে”।
সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ২০২১ এ এসেও এমনটা ঘটছে তা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। অথচ বাকি বিশ্ব নিজেদের মতো রয়েছে। সুদীপ্তার মতে, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো উচিত। পরিচালক অনীক দত্তও এই বিষয়ে একমত। তাঁর মতে, কোনো রকম কূটনৈতিক সম্পর্কের চিন্তা না করেই আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শুধু মাত্র ভারত না, সমগ্র বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত। বুদ্ধিজীবীরা এখন চুপ কেন? আফগানিস্তানের জা গায় যদি আমাদের দেশ থাকত এবং তখন যদি রাষ্ট্রসংঘ হাত গুটিয়ে বসে থাকত তাহলে কেমন হত?প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক।
আরেক পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতে, আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা কী হওয়া উচিত সেটা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাই ভাল বলতে পারবেন। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘ এবং পৃথিবীর সর্বাধিক শক্তিশালী দেশগুলি আফগানিস্তানকে নিয়ে ব্যবসার খেলায় মেতে রয়েছে। পরিচালকের মতে, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই এই মুহূর্তের সবথেকে বড় প্রয়োজনীয়তা।