কঠোর পরিশ্রম আর সাবলীল অভিনয়, অবাঙালি হয়েও বাঙালি মন জয়, এটাই জিৎ!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারদের তালিকা প্রকাশ পেলে প্রথম দিকেই নাম থাকবে জিতের (Jeet)। নব্বইয়ের দশকে প্রসেনজিৎ, অভিষেক, চিরঞ্জিৎ পরবর্তী সময়ে যাকে নতুন নায়ক হিসাবে পেয়েছিল টলিউড, তিনিই জিৎ। মিষ্টি মুখের পাশের বাড়ির ছেলেটা এখন রীতিমতো হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। স্ত্রী, কন্যা নিয়ে ভরাট সংসার। কিন্তু মহিলা মহল এখনো জিৎ বলতে অজ্ঞান। আজ ৩০ নভেম্বর সুপারস্টারের জন্মদিন।

২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘সাথী’। আর এই ছবির সঙ্গেই টলিউড এবং দর্শক পায় এক নতুন নায়ককে। জিতু মদনানী, অবাঙালি ছেলেটি যে ভবিষ্যতে টলিউডে রাজত্ব করবেন তার আভাস অনেকেই পেয়েছিলেন তাঁর প্রথম ছবি থেকেই। সুদর্শন চেহারা, সাবলীল অভিনয় এবং সর্বোপরি ঝরঝরে বাংলা নায়ক হওয়ার সমস্ত গুণই ছিল জিতের মধ্যে।


জিতের কেরিয়ারের শুরু থেকে এখনকার সমস্ত পরিচালকরাই বলেন, খাটতে পারেন অভিনেতা। টলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তিনি। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, সাথী ছবিতে কাঁচ ভাঙার একটি দৃশ্যে এনটিওয়ান স্টুডিওর দোতলা থেকে ঝাঁপ মারতে হয়েছিল। সেই দৃশ্যে কোনো স্টান্ট ডাবল নেননি জিৎ। নিজেই অভিনয় করেছিলেন। হাত পা কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড হলেও জিতের ডেডিকেশন অবাক করেছিল হরনাথকে।

পরিচালক রবি কিনাগিরও একই মন্তব্য। সংবাদ মাধ্যমের কাছে ‘ফাইটার’ ছবির সময়কার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কাজের প্রতি জিতের জেদ অবাক করা। কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেটে অন্যরা ভালমন্দ খেলেও জিৎ নির্বিকার মুখে সেদ্ধ খাবার খেয়েছিলেন। বারবার নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন জিৎ।


অবশ্য কেরিয়ারে সবসময় যে সাফল্যের মুখই দেখেছেন তিনি এমনটা কিন্তু নয়। আর পাঁচজনের মতো জিৎও উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। পরপর ফ্লপ দিয়ে আবার বাউন্স ব্যাক করেছেন। তবে এতদিনের কেরিয়ারে কয়েকটি ছাড়া ভিন্ন ধারার ছবিতে দেখাই যায়নি তাঁকে। জিৎ মানেই বরাবর মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি।

তবে তাঁর অতিবড় নিন্দুকও বলতে পারবে না যে জিতের দর্শক টানার ক্ষমতা নেই। ‘রাবণ’ ছবিতে দমদার অ্যাকশনে দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন তিনি। আগামীতে ফের ‘চেঙ্গিস’ রূপে ধরা দেবেন জিৎ। জন্মদিন উপলক্ষে ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশ‍্যে এনেছেন তিনি।

X