বাংলা হান্ট ডেস্ক : টলিউডের নামী এক টেকনিশিয়ান বলেন বিজেপি-র তরফে তিনবার ফোন এসেছে যে তিনি যেন বিজেপি সংগঠনে যোগদান করেন কিন্তু তিনি বলে দেন তিনি কোনও সংগঠনেই যোগ না দিয়ে শুধু সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান।আবার টলিউডের এক অভিনেতার একই বক্তব্য তবে তিনিও জানিয়ে দেন তিনি রাজনীতির কোনও রং কোনওদিন গায়ে মাখেননি আর ভবিষ্যতেও চান না।
প্রসঙ্গত বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গত পাঁচ বছরে তৃণমূলের প্রভাব স্পষ্ট। তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তিত্বকে সিবিআই জেরার জন্য ডেকেছে। টলিউডের নামী প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা রয়েছেন সিবিআই জালে ভুবনেশ্বরে। অন্যদিকে টলিউডের প্রথম সারির নায়ক-নায়িকারা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসেছেন বলে, তাঁদের সিনেমার জন্য যে মোট সময় তাতে ভাগ বসিয়েছে রাজনীতি। যার খুব সাম্প্রতিক উদাহরণ দেব, মিমি, নুসরত। কিন্তু সবুজ আবির মেখে কি উন্নতি হচ্ছে টলিউডের? বা এখন যদি গেরুয়া রং গায়ে পড়ে টলিউডের গায়ে, তাতেও কি উন্নতি হবে?টলিউডে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে টলিউডের নামী কিছু মুখ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে একটি সংগঠন তৈরি করা হবে, যার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের রং লেগে থাকবে না। রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে কথা বলবে যে সংগঠন। যাবতীয় রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্দ্ধে টলিউডের শিল্পীদের যে কোনও সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে চায় এই সংগঠন, তেমন আলোচনাও হয়েছে। শিল্প জগতে রাজনীতি যাতে কোনওভাবেই সরাসরি প্রভাববিস্তার না করে, সেই ভাবনা নিয়ে সোচ্চার হবেন টলিউডের এই নামী মুখরা।