বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়ল দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের গম্বুজের বেশ কিছুটা অংশ। সূত্রের খবর, মসজিদের মাঝের গম্বুজটির চূড়াটি ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই মুষলধারায় বৃষ্টিতে ভেসেছে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। বৃষ্টির সঙ্গে সারাদিন ধরেও চলেছে এলোমেলো দমকা বাতাস। আচমকাই এই তুমুল বৃষ্টির জেরেই ভেঙে পড়ে জামা মসজিদের মূল গম্বুজের চূড়ার ওই অংশ। শুধু জামা মসজিদের একাংশ নয়, মসজিদের কাছে একটি বাড়ির ব্যালকনিক ভেঙে পড়ে মৃতু হয়েছে ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির।
জামা মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি বলেন, ‘মসজিদের চূড়ার তিনটি অংশের মধ্যে দুটি ভেঙে পড়েছে ঝড়ের দাপটে। যার আঘাতে আহত হয়েছেন দুই ব্যক্তি। আহত দু’জন মসজিদের ভিতরে ছিলেন। আচমকাই গম্বুজের কিছু অংশ আলগা হয়ে তাঁদের উপরে পড়ে যায়। যার ফলে ঘটে এই দুর্ঘটনা। কোনও মতে গম্বুজের একটি অংশ ঝুলে রয়েছে। সেটি ইতিমধ্যেই নামিয়ে না আনা হলে মসজিদের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, মসজিদের কাঠামোর বেশ কিছুটা অংশ আলগা হয়ে গিয়েছে। আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজন দ্রুত মেরামতির। এ ব্যাপারে অবিলম্বে তিনি আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন। দ্রুত মেরামতির দাবি জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।
১৯৯৬ সালের মে মাসের পর এই প্রথম রেকর্ড তাপমাত্রা বেড়েছিল রাজধানীতে। বেশ কয়েক জায়গায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪৫ ডিগ্রির উপরে। এই দাবদাহ থেকে আচমকাই মুক্তি মেলে সোমবার। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে শুরু করে ঝোড়ো বাতাস। সঙ্গে চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিপাত। বেশ কয়েক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও দেখা যায়। ঝড় বৃষ্টির দাপটে ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। একাধিক জায়গায় বিঘ্নিত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। একাধিক এলাকায় জল জমার কারণে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাতিল করা হয় উড়ান পরিষেবাও।