বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে অন্য যে কোনও ক্রীড়ার মতোই ক্রিকেটের মঞ্চেও ফিটনেস ব্যাপারটা অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও আমরা ক্রিকেট বিশ্বে গত কয়েক বছরে এমন কিছু ক্রিকেটারকে খেলতে দেখেছি যাদের অলস বললে ভুল বলা হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ক্রিকেট বিশ্বের সফলতা পেয়েছেন। এমনই চারজন ক্রিকেটারকে নিয়ে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদন।
ক্রিস গেইল: ব্যাট হাতে তিনি বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে বড্ড ঘুমোতে ভালোবাসেন এই অতিকায় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে তার সাথে খেলতেন বাংলার লক্ষ্মীরতন শুকলা। তিনি একবার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অনুশীলনে বা জিমে গা ঘামাতে বড্ড অনিহা ছিল এই দৈত্যাকায় ক্রিকেটারের। প্রকৃতি তাকে যেমন ভাবে তৈরি করেছিল তাতে তার শক্তির অভাব হয়নি কোনওদিনও। কিন্তু ফিল্ডিং এর সময় তার দলের অধিনায়করা বরাবরই তাকে মাঠের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে চাইতেন।
রোহিত শর্মা: বর্তমান ভারত অধিনায়ক এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অলস ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন। বিরাট কোহলি সহ একাধিক ক্রিকেটার নিজেদের সাক্ষাৎকারে রোহিত শর্মার এই অলসতা সম্পর্কে নানান রকম মজার মজার মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন সময়ে। হিটম্যান মাঠে নিজের দিনে বোলারদের ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু নিজে ঘুমোতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ভুলে যাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে ভারতীয় অধিনায়কের।
সরফরাজ আহমেদ: বেশ কিছু বছর তিনিও পাকিস্তানে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যায় যে তিনিও অত্যন্ত অলস প্রকৃতির মানুষ। এমনকি ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাকে মাঠে দাঁড়িয়ে হাই তুলতে দেখা গিয়েছে।
লাসিথ মালিঙ্গা: গত প্রজন্মের সবচেয়ে ভয়ংকর বোলারদের মধ্যে একজন। কিন্তু ফিটনেসের দিক দিয়ে তিনি নিজেকে খুব একটা এগিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি। ফলে বয়সের সাথে সাথে তার গতি কমে যায়। কিন্তু বোলিংয়ে বৈচিত্র বাড়িয়ে নিজেকে দীর্ঘদিন প্রাসঙ্গিক রেখেছিলেন এই শ্রীলংকান কিংবদন্তী। নিজের ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি না খেতে ইনজয় সাফল্য তিনি পেয়েছেন তা দেখে অনেকেই এটা ভেবে আশ্চর্য হন যে যদি তিনি একজন শারীরিকভাবে চরম সক্ষমতা সম্পন্ন ক্রিকেটার হতেন তাহলে তিনি কোথায় গিয়ে থামতেন।