বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় জনতা পার্টির সম্পত্তির পরিমাণ দেশের অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেসের থেকে তিনগুণ বেশি ছিল। দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মোট সম্পত্তির ৫৪ শতাংশই ছিল গেরুয়া শিবিরের দখলে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় এবং আওঞ্চলিক দলগুলোর দ্বারা দেওয়া তথ্য আর আয়কর রিটার্নের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (ADR) জানিয়েছে যে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। এরপরই স্থান ছিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের। বিজেপির থেকে তিনগুণ কম সম্পত্তি নিয়ে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৯২৮ কোটি টাকা। আর তৃতীয় স্থানে ছিল উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি। মায়াবতীর দলের কাছে মোট সম্পত্তি ছিল ৭৩৮ কোটি টাকা।
ওই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে সর্বহারাদের দল সিপিএম। ত্রিপুরা থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখন মাত্র কেরলেই বামেদের সরকার চলছে। আর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের মধ্যে কেরলেও নির্বাচন হচ্ছে। এবার কেরলে সিপিএম ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, নাকি কংগ্রেস আবারও ক্ষমতায় আসে সেটা দেখার বিষয়। কিন্তু সিপিএমের কাছে সম্পত্তির পরিমাণও কম নয়। মোট ৫১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল সিপিএম-এর কাছে।
এরপরই আসে তৃণমূলের নাম। গোটা রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যেই ক্ষমতা রয়েছে তৃণমূলের। বাংলার বাইরে তেমন কোনও প্রভাবও নেই তৃণমূলের। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা দেশই চেনে। আর সেই তৃণমূলের কাছে যা সম্পত্তি রয়েছে তা বাংলার প্রাক্তন শাসক দল বামেদের অর্ধেক। রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃণমূলের কাছে মোট ২১০ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে।
আরেকদিকে, আরও একটি জাতীয় দল ন্যাশানাল কংগ্রেস পার্টি এই তালিকায় রয়েছে। শরদ পাওয়ারের এই দলের কাছে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩২ কোটি টাকা। জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়া CPI এর সম্পত্তির পরিমাণ সবথেকে কম দেখানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ADR এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে CPI এর কাছে ছিল মোট ২৫.৩২ কোটি টাকা।
এছাড়াও জাতীয় দলের স্বীকৃতি না পাওয়া অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সম্পত্তির পরিমাণ কম না। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী অখিলেশের দলের কাছে মোট ৫৭২ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল।