বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে ‘উপরওয়ালা যব দেতা হ্যা দেতা ছপ্পড় ফাড়কে’। এবার সেরকমটাই হল দক্ষিণ দিনাজপুরের এক ট্রাক্টর চালকের সঙ্গে। মাত্র ৬০ টাকার লটারির টিকিট কিনে ভরদুপুরেই কোটিপতি হলেন তিনি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুন্ডি ব্লকের উদয়পুর গ্রামের বাগডুমা এলাকার বাসিন্দা অনুপ সরকার। পেশায় ট্রাক্টর চালক তিনি। সংসারে অভাব নিত্যসঙ্গী। কোনোক্রমে কায়ক্লেশে দিন গুজরান হত পরিবারের। কিন্তু একটি মাত্র লটারি ভাগ্য ফিরিয়ে দিল তাঁর। বুধবার সকাল ১০ টা নাগাদ নিছকই ভাগ্য পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর তাতেই জ্যাকপট। ফলাফলে নিজের টিকিটের নম্বর দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করেননি অনুপ। পরে টিকিট বিক্রেতার বহুক্ষণের চেষ্টায় পুরো ব্যাপারটি বিশ্বাস হয় তাঁর।
এক এক কোটি টাকা কার্যতই জীবন বদলে দিয়েছে দরিদ্র ওই পরিবারের। দিনের পর দিন অভাব পেরিয়ে অবশেষে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন অনুপরা। জানা যাচ্ছে, স্ত্রী, পুত্র ছাড়াও বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা রয়েছে অনুপের। এতদিন ট্র্যাক্টর চালিয়ে যৎসামান্য যা আয় হত তা দিয়ে কোনোক্রমে টেনেটুনে চলত সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরোতো রোজই। বুধবার এই এককোটি টাকা পাওয়ার পর স্বস্তির হাওয়া পরিবারে। এই টাকার কিছুটা দিয়ে নিজেদের একটা ভালো বাড়ি বানাবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও কোটিপতি হয়েও বিড়ম্বনা পিছু ছাড়েনি অনুপের। এই বিপুল পরিমান টাকা জেতার খবর চাউর হয়ে যেতেই নিরাপত্তা চেয়ে তিনি কুশমুন্ডি থানার দ্বারস্থ হন তিনি। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা এবং সাহায্য করা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও জানুয়ারি মাস নাগাদ লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হন ক্যানিং এর দুই অটোচালক। যৌথভাবে ১ কোটি টাকা যেতেন তাঁরা। সেই টাকার বেশ কিছুটা সমাজসেবার কাজে ব্যবহার করবেন বলেই অবশ্য জানিয়েছিলেন ভরত সিং এবং বিশ্বজিৎ সুঁই নামের ওই দুই ব্যক্তি।