বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। অভিযোগ খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে গৃহবধুকে পাচার (Trafficking housewife) করার ঘটনা পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এরপরই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা উঠলে বড় নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, গত ২৯ জুন সকাল ৮ টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান নরেন্দ্রপুর থানা এলাকারা বাসিন্দা পবন কুমার ঝায়ের স্ত্রী অর্চনা।
ঝা (৪২)। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীকে পাননি পবন। এরপর ৩০ জুন নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
অভিযোগ, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ওই মহিলাকে উদ্ধারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ঘটনার পর স্থানীয় সূত্রে তার মক্কেল জানতে পারেন, সাগর শেখ ও চন্দ্রেশ কুমার নামে দুই ব্যক্তি ওই মহিলাকে ভুলভাল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
এরপর ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের কারণে পুলিশে অভিযোগ করেন পবন। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পবন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি ওঠে।
এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, ওই মহিলার খোঁজ চলছে। এখনও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল। করা কিন্তু তারা জামিন পেয়ে গেছেন। ওই মহিলাকে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে বলে আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করে নরেন্দ্রপুর থানা। পাশাপাশি আদালত চাইলে সিআইডি তদন্ত হতে পারে তাতে পুলিশের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতার! আরও বিপদ বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে এরপরই সিআইডির অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন জাস্টিস ঘোষ। পাশাপাশি কোনোভাবেই অভিযুক্তরা যাতে মামলাকারীর পরিবারকে ভয় না দেখাতে পারে সেই বিষয়ে নজর রাখার জন্য নরেন্দ্রপুর থানাকে নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।