হাতে রাখুন একটাই টিকিট, ঘোরা হয়ে যাবে ১৩টি দেশ! বিশ্বের এই দীর্ঘতম ট্রেন জার্নির কথা জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কখনো কখনো দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রেনের মাধ্যমে যেতে গেলে সময় লেগে যায় বেশ কিছুদিন। তার মধ্যে ট্রেন লেট থাকলে তো কথাই নেই। তবে এবার জানা গেল বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নির (Train Journey) কথা। এই ট্রেন যাত্রাপথে ভ্রমণ করে ১৩ টি দেশ। পর্তুগালের লাগোসে শুরু হয় বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি।

বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি (Train Journey) 

যাত্রাপথে ট্রেনটি অতিক্রম করে প্রায় ১৮,৭৫৫ কিলোমিটার (১১,৬৫৩ মাইল) দূরত্ব। পর্তুগাল (Portugal) থেকে শুরু হওয়া এই ট্রেনের শেষ স্টপেজ সিঙ্গাপুরে (Singapore)। এই বিপুল পরিমাণ যাত্রাপথ অতিক্রম করতে ট্রেনটি সময় নেয় ২১ দিন। ট্রেনটি যাত্রাপথে মোট ১১ টি স্টপেজ দিয়ে থাকে। যাত্রীরা বিভিন্ন ভ্রমণ স্থান ঘুরে দেখার সুযোগও পান এই যাত্রার মাধ্যমে।

IMG 20241123 182017

এই ট্রেনে একবার উঠে পড়লে শুধু যে ১৩ টি দেশ দেখতে পাবেন তাই নয়, যাত্রাপথে বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে দেবে এক অনন্য অনুভূতি। পর্তুগালের লাগোসে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেন স্পেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়ে শেষ স্টপেজ দেয় সিঙ্গাপুরে।

আরোও পড়ুন : ছাব্বিশে বাংলার ক্ষমতায় BJP! ‘অলীক স্বপ্ন দেখছেন’, সুকান্তর দাবির পাল্টা দিলেন কুণাল

প্যারিস, মস্কো, বেইজিং, ব্যাংককের মতো বড় শহরগুলির মধ্যে দিয়ে এই ট্রেন সফর করে। একটা কথা বলে রাখা ভালো এই ট্রেন যাত্রা কিন্তু বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। ১,৩৫০ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে এই ট্রেন সফরের জন্য। একাধিক দেশের মধ্যে এই ট্রেন যাত্রা করবে, তাই যাত্রীদের প্রয়োজন হবে বিভিন্ন নথির। তবে বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের কাছে সাম্প্রতিক অতীতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই রেল পথটি।

Train Journey

 

কুনমিং থেকে লাওসের ভিয়েনতিয়েন পর্যন্ত যে নতুন রেলপথ তৈরি হয়েছে তার কারণেই সম্ভব হয়েছে ইউরোপের সাথে এই উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা। পর্তুগাল থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যাত্রীদের একটি দুর্দান্ত সফর উপহার দেওয়া এবং লাওসের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা মাথায় রেখেই শুরু করা হয় এই রেলযাত্রা (Train Journey)।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর