বাংলা হান্ট ডেস্ক: অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে কেটে গিয়েছে প্রায় ১৪ টা বছর। নতুন রেললাইনের (Indian Railways) আশায় অতিক্রান্ত দীর্ঘদিন। তবে, এবার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষারই যেন অবসান ঘটতে চলেছে। এই প্রথমবারের মতো কৃষ্ণনগরের বুক চিরে ট্রেন ছুটে চলল আমঘাটার দিকে। আর এই বিষয়টিই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। জমিজটকে পেছনে ফেলে এক দশকেরও বেশি সময় পর এবার চালু হতে চলেছে কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেললাইন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই লাইনের কাজ চলছিল জোরকদমে। গত বছরে পুজোর আগেই লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয় ডিজেল ইঞ্জিনের মালগাড়ি চালিয়ে। যদিও তখন রেল সূত্রে জানানো হয়েছিল যে, নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় দরকার। পাশাপাশি, অনুমান করা হয়েছিল যে নতুন বছরের শুরুতেই এই লাইনে চলবে ট্রেন।
এমতাবস্থায়, ওই লাইনে এবার হাওড়ার লোকোমোটিভ সহ ইন্সপেকশন গাড়ি নিয়ে স্পিড ট্রায়ালের পর্ব সম্পন্ন হল। যেটি নিঃসন্দেহে একটি বড় খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, বহুদিন আগে থেকেই কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত লাইন পাতা থাকলেও বিভিন্ন কারণবশত ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। কেটে যায় বছরের পর বছর সময়।
এমনকি, ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় নতুন রেললাইনের আশেপাশে গজিয়ে উঠতে থাকে ঝুপড়ি এবং আগাছায় পূর্ণ হয়ে যায় সমগ্র এলাকা। একটা সময় এই রেল লাইনের কথা কার্যত ভুলতে বসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও, বিগত কয়েক মাসে তৎপরতার সাথে কাজ শুরু করা হয় এই লাইনে। উল্লেখ্য যে, ১৪ বছর আগে অর্থাৎ ২০১০ সালে নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে শান্তিপুরের মধ্যে চালু ছিল ট্রেন পরিষেবা।
আরও পড়ুন: চালানের নামে মোবাইলে এসেছে মেসেজ? ভুলেও দেবেন না ফাইন! নাহলেই হবে বড় বিপদ
তবে, ওই বছর লাইনটিকে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ করে তোলার লক্ষ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে একদম নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত সমগ্র লাইনটি ব্রডগেজ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এদিকে, প্রকল্পের শিলান্যাসের পর দ্রুত কাজ শুরু হয়ে গেলেও জমিজটে আটকে যায় এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন: “জোর কা ঝটকা….”, CSK-র কাছে হারের পর আরও একটি বড় ধাক্কা পেলেন শুভমান
এমতাবস্থায়, শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশন পর্যন্ত নতুন লাইনের কাজ তখনই শুরু হলেও নবদ্বীপঘাট পর্যন্ত লাইন পাততে বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি, দীর্ঘদিনের চেষ্টা সত্ত্বেও আমঘাটা পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণ করা গিয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত জোরকদমে চলেছে কাজ। আপাতত সেখানে চলছে ট্রায়ালের পর্ব।