বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকের কাছেই ট্রেন (Train) সফর মানে অ্যাডভেঞ্চার। ঘুরতে যাওয়া হোক কিংবা কাজের জন্য যাওয়া, এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ট্রেন যাত্রা রীতিমত উপভোগ করেন। আমাদের দেশের গণপরিবহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই ট্রেন। একটা ছোট শিশুও জানে ট্রেন যাত্রা করার জন্য টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক।
বিনা টিকিটে ট্রেন (Train) সফর
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে টিকিট না কাটলে যাত্রীকে গুনতে হতে পারে জরিমানা। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে হতে পারে জেলও। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না আমাদের ভারতেই এমন একটি ট্রেন রয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ ‘উলটপুরান!’ আমাদের দেশের এই ট্রেনে সফর করলে কাটতে হয় না টিকিট। টিকিট ছাড়াই যাত্রীরা চড়তে পারেন ট্রেনে (Train)।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ট্রেনটি যাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে আসছে গত ৭৫ বছর ধরে। চলুন একটু ঘুরে আসা যাক ইতিহাসের পাতা থেকে। ১৯৪৮ সাল নাগাদ হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল ভাখড়া এবং নঙ্গল জলাধার। এই জলাধার দুটি নির্মাণ করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর পরিমাণ ভারী যন্ত্রপাতি ও কর্মচারীর প্রয়োজন ছিল।
আরোও পড়ুন : হতে চেয়েছিলেন শেফ, একটি গানই বদলে দেয় জীবন, এখন বলিউড কাঁপিয়ে হলিউডও মাত করছেন এই অভিনেতা!
তবে নির্মাণ স্থলে কীভাবে এসব আনা হবে সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করতেই মাথায় আসে রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় রেলপথ। মূলত যন্ত্রপাতি ও শ্রমিকদের পরিবহণ করার উদ্দেশ্যেই এই রেলপথ স্থাপন করা হয়েছিল। পঞ্জাবের রূপনগর জেলার নঙ্গল থেকে যাত্রা শুরু করা এই ট্রেনটি ২০২৩ সালে পূরণ করেছে ৭৫ বছর।
আরোও পড়ুন : শত কোটি চেষ্টা করেও ব্যর্থ, মেনে চলুন চাণক্যের এই ৬ নীতি, সাফল্য এসে লুটোপুটি খাবে!
তবে এতগুলো বছর পরেও পরিষেবা চালু রয়েছে এই ট্রেনের। রূপনগর জেলা থেকে যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে ট্রেনটি গিয়ে থামে হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) বিলাসপুর জেলার ভাখড়ায়। একটি হিসাব বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ যাত্রী সফর করে থাকেন এই ট্রেনে। ডিজেল চালিত একটি ট্রেন প্রতিদিন সকালে যাত্রা শুরু করে আবার ফিরে আসে বিকেলে।
এই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ভাখড়া বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড জানাচ্ছে, এই ট্রেন সুদীর্ঘ ইতিহাস বহন করছে বছরের পর বছর ধরে। তাই আজও প্রতিদিন একটি করে ট্রেন চলে এই লাইনে। গ্রামবাসীরা ছাড়াও এই ট্রেনে সফর করতে পারেন পর্যটকেরা। সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় (Without Ticket) সাক্ষী হতে পারেন ইতিহাসের। তাহলে এবারের শীতে চড়ে আসবেন নাকি এই বিনে পয়সার ট্রেনে?