বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা। বিহারে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার পাশাপাশি দেশের বহু রাজ্যের রাজপথেই বিক্ষোভ প্রর্দশিত হয়েছে। আর সেই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতার আঁচ এসে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। হাইওয়ে থেকে শুরু করে রেললাইন, কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই, প্রায় ১২টি ট্রেনকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেলের বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একের পর এক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আশার কথা এই যে, ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভের পর পূর্ব-মধ্য রেলে অর্থাৎ বিশেষত বিহারে চলাচল কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। তবুও বুধবার পূর্ব রেলের তরফে একাধিক মেমু এক্সপ্রেস সহ দুরপাল্লার বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এবার, দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকাটা।
- ১৩১৫১ কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস।
- ১২২৫৪ ভাগলপুর-যশবন্তপুর অঙ্গ এক্সপ্রেস।
- ১২২৫৪ ভাগলপুর-যশবন্তপুর অঙ্গ এক্সপ্রেস।
- ১৩৪১৯ ভাগলপুর-মুজফ্ফরপুর জনসেবা এক্সপ্রেস।
- ১৩৫৫৩ আসানসোল-বারাণসী মেমু এক্সপ্রেস: আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বাতিল থাকবে।
- ১৩৫৫৪ বারাণসী-আসানসোল মেমু এক্সপ্রেস: আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত বাতিল থাকবে।
এদিকে, সাধারণ মানুষের জীবনের লাইফলাইন হিসাবে বিবেচিত হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকাল আর স্পেশাল ট্রেনগুলি। গত কয়েকদিনে একাধিক ট্রেন বাতিলের কারণে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বহু ট্রেনের পথ ঘুরিয়ে দিতে দেওয়ার কারণে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অগ্নিপথ প্রকল্পকে ঘিরে বিদ্রোহের জেরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রশাসন। ফলত, বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে আগে থেকে বিস্তারিতভাবে সূচী দেখে নেওয়াই সঠিক উপায় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।