বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়। সেটিতে দেখা যাচ্ছে একটি হিজড়া দুই সাধুকে মাস্ক না পরার অপরাধে লাঠি দিয়ে মারছে। এটাও বলে রাখা দরকার যে তিনি নিজেই মাস্ক পরে ছিলেন না সেই সময়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে (Viral Video) পড়তেই সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
খবর অনুযায়ী, ওই অভিযুক্ত হলেন পুনম মহন্ত (Punam Mahanta)। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে রাজস্থানের এক এলাকার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই হিজড়া কাউন্সিলর (Transgender Councillor) দুই কোণে দুই সাধুকে চড় মারছেন। তারপর এক কোণায় টেনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন। ‘করোনা অতিমারীর মধ্যে আপনাদের মাস্ক কোথায় ? এটা আরও একবার উল্লেখ করা উচিত যে অভিযুক্ত নিজেই মাস্ক পরেননি। আহত হওয়ার কথা ভেবে একসাধু তখন নিজের ঘাড়ে থাকা কাপড়ের টুকরোটি দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন সেটিই মাস্ক।’
वीडियो वायरल होने के बाद कांग्रेस पार्षद पूनम महंत ने नाटकीय अंदाज में दूसरा वीडियो किया जारी
इसमें वह घर से निकलते साधू को मास्क देते नजर आ रही हैं ।#Rajasthan #Hanumangarh #MaskUp pic.twitter.com/qS9Lv1EYgs
— News24 (@news24tvchannel) April 27, 2021
এরপরই আর একটি সাধুর কাছ থেকে লাঠি ছিনিয়ে নিয়ে তিনি হুমকি দিতে লাগলেন। পাশাপাশি সেই লাঠি দিয়ে মারলেনও তাঁদের। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়তেই যেই সমালোচনা শুরু হয়, তৎক্ষনাৎ তিনি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ লেগে পড়েন। তিনি পরে অন্য একটি ভিডিও নিজেই বানিয়ে ভাইরাল (Viral) করার চেষ্টা করেন, যাতে দেখা যাচ্ছে এক সাধু তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছে, তখন ওই কাউন্সিলর নিজের বাড়ি থেকে একটি সাইনবোর্ড হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। যাতে লেখা আছে ‘দয়া করে মাস্ক পরুন’।
তখন ওই পুনম মহন্ত সেই সাধুর হাতে মাস্ক তুলে দেন এবং করোনার (Corona) এহেন সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে যত্ন নেওয়ার অনুরোধ করেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সামাজিক মাধ্যমে যে নিজের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতেই এই চেষ্টা করলেন, তা আন্দাজ করতে সময় লাগেনি নেটিজেনদের।