বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকাকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা ঠিক হয়নি বলে কলকাতা হাই কোর্টকে বয়ান দিল ইডি (ED)। তবে এরই সঙ্গে আদালতে স্বপক্ষ সমর্থনে ইডি বল, বিষয়টি ‘হয়রানি’ হলেও ‘আদালতের অবমাননা’ কখনওই নয়।
কয়লা পাচার মামলায় ইডি লুক আউট নোটিস জারি করে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গাম্ভীরের বিরুদ্ধে। সেই নোটিসকে পাত্তা না দিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কক যেতে চায় মেনকা। অগত্যা দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বিমান বন্দরে আটকে রাখা হয়। অভিযোগ ওঠে অভিবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। আদালতে মেনকার আইনজীবীরা জানান, আদালতের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও মেনকার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হয়। যা এক রকম আদালতের অবমাননারই শামিল। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে ইডি এবং অভিবাসন দফতরের জবাব জানতে চেয়েছিল আদালত। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে ওই মন্তব্য করেন ইডির আইনজীবী এসভি রাজু। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী শুক্রবার রায়দান করবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।
ইডি এবং অভিবাসন দফতরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন মেনকা গম্ভীরের আইনজীবী। কয়লা পাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত। মানেকার অভিযোগ ছিল, আদালতের নির্দেশ মানেনি ইডি। ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। বিমানবন্দরেরই একটি ঘরে টানা দু’ঘণ্টা আটকে রাখে অভিবাসন দফতর।
মেনকার আইনজীবী আদালতকে বলেন, এই ‘আটক’ করে রাখাও এক ধরনের কড়া পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে ইডি এবং অভিবাসন দফতর আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। আদালতের অবমাননা করেছে। বুধবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে। অভিবাসন দফতরের কাছেই এই অভিযোগের জবাব জানতে চান বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে হলফনামার আকারে ইডিকেও তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিলেন তিনি।
রাত ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য উড়ান ধরতে এসেছিলেন অভিষেকের শ্যালিকা। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি পাসপোর্ট টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে গেলে তাঁকে বিমানে উঠতেই বাধা দেওয়া হয়। এর পর অভিবাসন দফতর তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরের একটি ঘরে বসিয়ে রাখে বলেও অভিযোগ করেন মেনকা। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করানোর পর অভিবাসন দফতর তাঁকে জানায়, একটি বিশেষ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। তাই তিনি বিমানে উঠতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, তিনি কলকাতাও ছাড়তে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।