বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেড়াতে (Travel) যেতে কে না ভালোবাসেন? বিশেষ করে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিরা সুযোগ পেলেই তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন নিজেদের পছন্দের ডেস্টিনেশনে। এদিকে, চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আর বেশি বাকি নেই। বছরের এই সময়টাতে অনেকেই দীর্ঘ ছুটিকে কাজে লাগিয়ে বেড়াতে (Travel) যান। এমতাবস্থায়, বেড়ানোর ক্ষেত্রে আপনার যদি অফবিট স্থান বেশি ভালো লাগে সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঘুরে (Travel) আসুন এই অফবিট গ্রাম:
কারণ, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একটি স্থানের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেখানে অপেক্ষাকৃত কম ভিড় থাকে এবং ওই স্থানটি বিভিন্ন কারণে আপনাকে চমকে দেবে। মূলত, দার্জিলিঙের কাছেই রয়েছে এমনই এক অজানা জায়গা। যেটির নাম হল জামুনি। রঙ্গিত নদীর পাড়ের এই দুর্দান্ত স্থান পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ কারণের জন্য পরিচিত। কারণ এই, জামুনিতেই শ্যুটিং হয়েছিল জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা “বরফি’-র।
জানিয়ে রাখি, দার্জিলিং থেকে জামুনির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। গাড়িতে যেতে দার্জিলিং থেকে সময় লাগে ঘন্টাখানেক। তবে, দার্জিলিং থেকে অপেক্ষাকৃত নিচুতে জামুনি অবস্থিত হলেও এই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। জামুনির আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এখানে রয়েছে জামুনি ব্রিজ। যেটি আসলে একটি লোহার পুল। ওই ব্রিজ দার্জিলিং এবং সিকিমকে সংযুক্ত করেছে।
পাশাপাশি, ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে রঙ্গিত নদী বয়ে চলেছে। ব্রিজটিতে রয়েছে সারি সারি প্রার্থনার পতাকা। যেহেতু জামুনি দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই রয়েছে সেই কারণে পর্যটকরা এখানেও বেড়াতে (Travel) আসেন। এদিকে, বর্তমানে জামুনিতে পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। জামুনিতে একটা দিন কাটিয়ে ফের আপনি ফিরে যেতে পারবেন দার্জিলিং। এমতাবস্থায়, পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং বেড়াতে এলে করে ফেলতে পারেন এই ছোট্ট ট্রিপটিও।
আরও পড়ুন: ৪,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা! আজ প্রতিমাসে হচ্ছে ২.৫ লক্ষের আয়, সবাইকে চমকে দিলেন মা-ছেলে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জামুনির রাস্তাঘাট আপনাকে মনে করিয়ে দেবে “বরফি” সিনেমার কথা। সেখানকার গাড়ির চালকেরা এই প্রসঙ্গে আপনাকে “গাইড” করে দেবেন। কোথায় কোথায় সিনেমার শুটিং হয়েছিল সেই বিষয়টি দেখিয়ে দেবেন তাঁরা। এদিকে, রঙ্গিত নদীর কাছেই রয়েছে জামুনি পার্ক। সেখানে গেলে আপনি মহাদেবের শ্বেত পাথরের মূর্তি দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: বিরাট দাপট, পাকিস্তানের এই হিন্দু রাজার সামনে টু-শব্দ করতে পারেন না মুসলমানরাও, চমকে দেবে পরিচয়
এছাড়াও, ওই পার্কের মধ্যে একটি লেকও রয়েছে। যেখানে সাঁতার কাটতে দেখা যাবে রাজহাঁসকে। মন্দিরের বারান্দায় দাঁড়ালেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে, রঙ্গিতের জলে পা ভিজিয়ে নিতে পারেন। আর এইভাবেই আপনি সেখানে বেড়াতে (Travel) গিয়ে খুব সহজেই নিজের মতো করে অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলতে পারবেন।