বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নির্দেশে কাটা হচ্ছে কয়েক লক্ষ গাছ। শুধু তাই নয়, তারপর ওই গাছগুলি নিলাম করে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান। এই নিয়েই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা উঠলে বিচারপতির নির্দেশ, পঞ্চায়েত প্রধান কেন ওই গাছগুলি নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে বন দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
প্রধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে- Calcutta High Court
ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার কোতুলপুর। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নেওয়া ১০ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতের নির্দেশ কোতুলপুর থানাকে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট দিতে হবে বন দফতরের বিভাগীয় আধিকারিককে (ডিএফও)।
আদালতের নির্দেশ, পঞ্চায়েত প্রধান গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কি না এবং তার সেই ক্ষমতা রয়েছে কি না সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে। আগামী ১৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। সেই দিন ওই রিপোর্ট দিতে হবে বন দফতরের বিভাগীয় আধিকারিককে। নির্দেশ উচ্চ আদালতের।
মূল ঘটনা: বাঁকুড়ার সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার জন্য নিলাম ডাকেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। প্রধানের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এলাকারই দুই বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ‘এই রাজ্যে হিন্দুদের জনজাতি নিয়ে সরকার গড়ব’, হুঙ্কার শুভেন্দুর
হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার গাছ কাটার নিলামের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সোমবারই তার শেষ দিন। ওই গাছ নিলামের দর ধরা হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। এদিকে আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে বাঁকুড়ার মহকুমাশাসক কোতুলপুরের বিডিও এবং ডিএফওর তরফে কিছু জানা যায়নি। আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। আপাতত গাছ কাটা এবং নিলামের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।