আর নয় অপেক্ষা! জাপানে শুরু মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটের বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল, কবে আসবে ভারতে?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ভারতের প্রথম ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হাই-স্পিড রেল লাইন নির্মাণ করছে। যার মধ্যে ৩৫২ কিলোমিটার রুট গুজরাটের ৯ টি জেলা এবং মহারাষ্ট্রের ৩ টি জেলার মধ্য দিয়ে যাবে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই রুটে চলমান বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) ট্রায়াল জাপানে শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন পরিষেবা শুরু করার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জাপানে শুরু মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটের বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) ট্রায়াল:

জানিয়ে রাখি যে, জাপান ও ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, জাপান ভারতকে ২ টি শিনকানসেন ট্রেন (Bullet Train) সেট উপহার দেবে। যার মধ্যে একটি বুলেট ট্রেন হল E5 সিরিজের এবং আরেকটি হল E3 সিরিজের। এই ট্রেনগুলি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। ভারতে পৌঁছানোর পর, এই ট্রেনগুলিকে ভারতের ভৌগোলিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

E10 সিরিজের শিনকানসেন ভারতে তৈরি হবে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই ট্রায়াল ট্রেনগুলি অত্যাধুনিক পরিদর্শন ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। যা চলমান অবস্থা, তাপমাত্রা সহনশীলতা এবং ধুলো প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। এই তথ্য ভবিষ্যতে বুলেট ট্রেনের পরিচালনা ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করবে। জাপান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, “মেক ইন ইন্ডিয়া”-র আওতায় ভারতে পরবর্তী প্রজন্মের E10 সিরিজের শিনকানসেন ট্রেন (Bullet Train) তৈরিতেও এই তথ্য ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! রোহিত শর্মার এই “অস্ত্র”-ই IPL থেকে ছিটকে দিয়েছে ৪ টি দলকে, এবার “টার্গেট” পাঞ্জাব

মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছনো যাবে ২ ঘন্টায়: জানিয়ে রাখি যে, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ MAHSR করিডোরটি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHSRCL) দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডোরটি মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে সফরের সময় মাত্র ২ ঘন্টা ৭ মিনিটে কমিয়ে আনবে। এই রুটে মোট ১২ টি স্টেশন থাকবে। যার মধ্যে প্রধান স্টেশনগুলি হল থানে, ভিরার, বোয়সার, ভাপি, সুরাট এবং ভাদোদরা। এই পুরো প্রকল্পে জাপানের বিখ্যাত রেল নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার মান গ্রহণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ৬.৯৯২ বিলিয়ন ডলারের বৃদ্ধি! কী অবস্থা পাকিস্তানের?

জাপান সস্তায় ঋণ দিয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত ও জাপান ২০১৬ সালে এই হাই-স্পিড রেল প্রকল্পের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। জাপান কম সুদে ইয়েন ঋণের মাধ্যমে এই প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যয় বহন করছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পটি কেবল দ্রুত ভ্রমণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এর মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, পর্যটন এবং ব্যবসাও উন্নীত হবে। আশা করা হচ্ছে যে, এই করিডোরটি চালু হয়ে গেলে, এটি ভারতে দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য গণপরিবহণের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X