বাংলাহান্ট ডেস্ক: মা হলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। কোল আলো করে রাজপুত্তুর এসেছে তাঁর। সদ্যই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে এ খবর। কিন্তু তৃণা যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তা তো এতদিন জানা যায়নি! দিব্যি বড়পর্দা ছোটপর্দা মিলিয়ে শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে?
আসলে তৃণা মা হয়েছেন ঠিকই। তবে বাস্তবে নয়, পর্দায়। আরো স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে ‘খড়কুটো’র গুনগুন (Gungun)। বেশ অনেকদিন আগেই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পেরেছিল দর্শক। মুখোপাধ্যায় পরিবার আদরে মুড়ে রেখেছিল বাড়ির বৌকে। অবশেষে সুখবর। সদস্য সংখ্যা বেড়েছে পরিবারের।
এক সময় মিষ্টি বৌদির সদ্যোজাত সন্তান পুচুসোনাকে নিজের সন্তানের মতোই ভালবেসেছে, যত্ন করেছে গুনগুন। এমনকি মায়ের থেকে এক রকম কেড়ে নিয়েই নিজের কাছে রাখত সে। তা নিয়ে তুমুল ঝামেলাও হয়েছিল পরিবারে। পরে অবশ্য সবটা মিটমাট হয়ে যায়। আর এখন গুনগুনের নিজের কোলেই এল পুচুসোনা।
আনন্দের মাঝেও বিষাদের ছায়া সরেনি মুখোপাধ্যায় পরিবারের উপর থেকে। সদ্য মা হওয়া গুনগুন যে সদ্য পিতৃহারাও হয়েছে। অথচ সে খবর তাকে জানানো হয়নি। একটি কনফারেন্সে অংশ নিতে ইতালি গিয়েছেন গুনগুনের ড্যাডি। হঠাৎ করেই সৌজন্যর কাছে খবর আসে, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ডাঃ কৌশিক। তারপরেই সব শেষ।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করছিলেন গুনগুনের ড্যাডির চরিত্রে। বাস্তবটাই যেন আরেকবার পর্দায় তুলে ধরেছেন সিরিয়াল নির্মাতারা। অন্য কাউকে অভিষেকের জায়গায় আনা যাবে না বলেই হঠাৎ করে এভাবে চরিত্রটিকে শেষ করে দিতে হয়েছে।
এখনো মন ভারাক্রান্ত তৃণার। ড্যাডির খুব কাছের ছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে তৃণা জানান, অভিষেক যদি থাকতেন তবে দৃশ্যগুলো অন্য রকম হত। খুব হুল্লোড়ে মানুষ ছিলেন তিনি। নাতিকে পেয়ে খুবই খুশি হতেন ডাঃ কৌশিক বসু।