বাংলাহান্ট ডেস্ক: সবে মাত্র দু মাস হয়েছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নীল ভট্টাচার্য্য (neel bhattacharya) ও তৃণা সাহা (trina saha)। দীর্ঘ ১১ বছরের প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন দুজন। বিয়ের পর নতুন জীবন, আলাদা বাড়ি হলেও মানুষগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত তৃণা। পাশাপাশি বিয়ের পর রাজনীতিতেও পা রেখেছেন নীল তৃণা। এবার জীবনের এই নতুন ইনিংস নিয়ে খুল্লমখুল্লা আড্ডায় মাতলেন তৃণা।
আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, বিয়ের আগের ও পরের জীবনের মধ্যে খুব বেশি বদল নেই তাঁর। শাশুড়ি অর্থাৎ নীলের মা নাকি যত্নে মুড়ে রেখেছেন তাঁকে। নিজের বাড়িতে কখনো এক গ্লাস জলও গড়িয়ে খেতে হয়নি তাঁকে। শ্বশুরবাড়িতে এসেও তাই।
তবে স্বামী নীলকেও ছেড়ে কথা বলেননি তৃণা। অভিনেতার বেশ কিছু বদভ্যাস ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। নীল নাকি খুবই কুঁড়ে। সেই সঙ্গে বেশ ভুলো মনেরও। আর স্বামীর এই জিনিস গুলোই একেবারে না পসন্দ তৃণার। তবে ১১ বছরের সম্পর্কে প্রেম রে ভরপুর তা আর নতুন করে বলতে হয় না। তবে ঝগড়া কি একেবারেই করেন না নীল তৃণা?
অভিনেত্রী জানান, সেভাবে চিৎকার করে ঝগড়া তাঁরা করেন না ঠিকই। কিন্তু মনে মনে রাগ পুষে রাখেন। নীলের নাকি এক সপ্তাহ লেগে যায় রাগ ভাঙতে। তবে স্বামীর একটা গুণ খুব পছন্দ তৃণার। শুনতে খারাপ লাগলেও মুখের উপর সত্যি কথা বলতে পছন্দ করেন নীল।
বিয়ের পর দুজনে মিলে এক নতুন ইনিংস শুরু করেছেন ‘তৃনীল’ জুটি। রাজনীতিতে পা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন তিনি। বিপদের সময় পাশেও পেয়েছেন তাঁকে। দিদির সঙ্গে প্রচারে নন্দীগ্রাম গিয়েছেন দুজন। আপাতত ভাল ভাবে দলের হয়ে প্রচার করতে চান নীল তৃণা।
অভিনেত্রী আরো বলেন, সায়নী ঘোষ ও সাংসদ দেব তাঁর অনুপ্রেরণা। এঁরা বুঝিয়েছেন যে রাজনীতিতে আসতে গেলে যথাযথ শিক্ষটাও প্রয়োজন। সেই কারণে এত বাজে কথার চাষ হলেও সায়নী ও দেবের মুখে তা শোনা যায়না।