নিজস্ব প্রতিনিধি,বোলপুর,বীরভূমঃ তৃনমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে রাতভর চললো বোমাবাজি। বাড়ি লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। চলে ঘর ভাংচুর। এমনকি মারধর করা হয় গ্রামের মহিলাদের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার অন্তর্গত বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যজ্ঞীনগর গ্রামে। অভিযোগ,তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
ছবিঃ ভেঙে দিয়েছে বাড়ির জানালার কাঁচ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গতকাল ওই গ্রামের বেশ কিছুজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক মিলে বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে যায়। সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কেন তারা পাচ্ছে না এই বিষয়ে কথা বলতে যায়। ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকার হিসাব ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানাতে যায়। এইকথা জানিয়ে আসার পরেই গভীর রাতে বিজেপির ওই কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে। ও বাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করে তারা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির এস.টি মোর্চার সম্পাদক সুকোল মাড্ডি আমাদেরকে ফোনে জানান,“এখন তৃনমূল তো রাজনীতি করছে না আমাদের পশ্চিম বংলায়। এখন রাজনীতি করছে পুলিশ। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে এখন বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এখন যেখানে,যেখানে বিজেপি প্রভাব বিস্তার করছে সেখানেই যেমন যজ্ঞীনগরেও বিজেপির প্রভাব পড়েছে তাই তৃনমূল বাইরে থেকে লোক হায়ার এনে পুলিশের সঙ্গে সংযত করে আমাদের বিজেপির কর্মী-সমর্থকদেরকে হ্যারেসমেন্ট ও মারধর করছে। এখন রাজ্য সরকার পুলিশদেরকে পুতুল বানিয়ে রেখে দিয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। আমাদের পশ্চিম বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে হত্যা করে দিয়েছে এই সরকার।”
এই ঘটনায় তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য যাদের,যাদের নাম এসেছে তাদেরই দেওয়া হয়েছে। আর গতকাল যারা বোমাবাজি করেছে তারা নিজেদেরই দোলের লোক। এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই বোমাবাজি করেছে।আর তার দায়ভার আমাদের তৃণমূলের উপর চাপাতে চাইছে।”