বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে আবারও তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সংঘর্ষে আহত এক বিজেপি নেতা। আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখার যতই চেষ্টা করছে, ততই কোন না কোন ফাক ফোকড় দিয়ে ঠিকই দলীয় কোন সদস্যের খারাপ দিকের প্রকাশ ঘটছে।
ঘটনার বিবরণ
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার ভেড়িলি বাজার এলাকায়। জামালপুরের বিজেপি নেতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বুধবার লকডাউন থাকায় ভেড়িলি গ্রামের শক্তিকেন্দ্রের বিজেপি নেতা দেবব্রত শেঠ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেইসময় এলাকার ১০-১২ জন তৃণমূলকর্মী স্বপন, সাজু, ফিরোজ, হাবুল, আসগর, জালালরা তাঁকে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে মারধর করতে থাকে। মেরে তাঁর ডান পা ও বাম হাত ভেঙে দেয়’।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার আর্জি
বিজেপির জামালপুর মণ্ডলের সভাপতি রাহুল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘দেবব্রতবাবু মারাত্মক জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তৃণমূলকর্মীরা তাকে মারধর করতে থাকে’। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরও এক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, ‘জামালপুরে বিজেপিকর্মীদের লাগাতার অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূলের সদস্যরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারী তৃণমূলকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে পাল্টা প্রতিরোধে নামব আমরা’।
চলছে পুলিশি তদন্ত
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দেবব্রত শেঠকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায়, ওই রাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় দেবব্রত বাবুকে। চলছে পুলিশি তদন্ত।
মিথ্যা অভিযোগ আনছে বিজেপি
বিজেপি নেতার উপর মারধরের অভিযোগ ওঠায় জামালপুর ব্লক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমূদ খান জানিয়েছেন, ‘এদিন সন্ধায় ওই বিজেপি নেতা এক চায়ের দোকানে বসে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন। লোকজন তার কথার প্রতিবাদ করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন তিনি পালাতে গেলে একটি গর্তে পড়ে যান। এখানে কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই। রাজনৈতিক সুবিধার্থে তৃণমূলের বিরূদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে’।