বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কর্মীর বাবাকে খুনের চেষ্টার মামলা রজু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। অভিযোগের তীর ছিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) দিকেই। সেই মামলায় দোষী প্রাপ্ত বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা-কে ৩ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত। তবে তারপরই হল ম্যাজিক। সাজা ঘোষণার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন শাসকদলের নেত্রী।
সাজা ঘোষণার পরই জামিন পেয়ে গেলেন TMC নেত্রী-Trinamool Congress
এভাবে সাজা ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই জামিন পাওয়া সম্ভব? কী বলছে আইন? আইন অনুযায়ী, তিন বছর কিংবা তিন বছরের কম সাজাপ্রাপ্ত হলে, জামিন মেলা সম্ভব। এবিষয়ে তৃণমূল নেত্রীর আইনজীবী বলেন, যেহেতু তিন বছরের সাজা হয় তাই ওনার জামিনের জন্য সঙ্গে সঙ্গেই রিট পিটিশন জমা দেওয়া হয় বর্ধমান আদালতে।
বিচারক ২০ হাজার টাকার বেলবণ্ডের বিনিময়ে জামিনের রিট পিটিশন গ্রহণ করে জামিন ঘোষণা করেন বলে জানান তৃণমূল নেত্রীর আইনজীবী। তবে তিনি আরও জানান, এই জামিন অস্থায়ী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে জামিনের জন্য ওনাকে আবেদন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। এই নিয়েই দায়ের হয় মামলা। সেই সময় তার স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতদিনে সেই মামলাতে সাজা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: গতকালই বেড়েছে DA, এবার সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া ছুটির ঘোষণা, জারি বিজ্ঞপ্তি
সোমবারই এই মামলায় ১৩ জন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ আসে। দোষী সাব্যস্ত হন কাকলি তা সহ আরও অনেকে। এই মামলাতেই বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, দলের নেতা শেখ জামাল, কার্তিক বাগ সহ ১২ জন অভিযুক্তকে ১০ বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।