বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বোলপুরের আইসি-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ। ভাইরাল অডিও ক্লিপিংয়ে অনুব্রতর নাম নিয়ে এক ব্যক্তিকে আইসি-কে হুমকি দিতে শোনা যায় (সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট)। ইতিমধ্যেই তাঁর এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
‘হুমকি’ কাণ্ডের পর অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ?
শুক্রবার তৃণমূলের (TMC) তরফ থেকে জানানো হয়, ‘অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছে এবং এই মন্তব্যকেও সমর্থন করছে না। আমরা তাঁর অপমানজনক ও অগ্রহণযোগ্য-অশ্রাব্য ভাষার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি’।
একইসঙ্গে তৃণমূলের নির্দেশ, আগামী ৪ ঘণ্টার মধ্যে কেষ্টকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হবে। এবার জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর নিরাপত্তাও কমানো হয়েছে।
দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেষ্টর পাঁচজন হাউসস্টাফ, চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই তৃণমূল নেতার জন্য বরাদ্দ একটি গাড়িও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘সুন্দরভাবে দুর্নীতির ব্যবস্থা করেছেন’! নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে মুখ খুললেন চাকরিহারারা
অন্যদিকে ‘হুমকি’ কাণ্ডের পর অনুব্রতর গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে রাস্তায় নেমেছে বীরভূম বিজেপি। অবিলম্বে কেষ্টকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে তারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই বিষয়ে বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার ন্যাকামি নয়, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে’।
নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে যে তাদের দলদাসে রূপান্তরিত করেছে এই ঘটনা সেটারই প্রমাণ। যে অফিসার ওদের কথা মতো চলেন না, তাঁকেই এভাবে গালিগালাজ করা হয়। সেই জন্য ক্ষমা চাওয়ার ন্যাকামি নয়, কেষ্টকে গ্রেফতার করুক পুলিশ’।
উল্লেখ্য, গত বছর গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকে একাধিকবার নানান কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসি-কে গালিগালাজ, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। ৪ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে দল। তবে সেই সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার আগেই লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কেষ্ট।