বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। লাগাতার মিছিল, অভিযানে ক্রমেই চার বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। এর মাঝেই এবার জোড়াফুল শিবির (Trinamool Congress) ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন দলের হেভিওয়েট নেতা। ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাড়লেন কোন নেতা?
আরজি কর কাণ্ডে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল (TMC)। রবিবারও কলকাতার বুকে একটি বিরাট প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল। এসবের মাঝেই উত্তর-পূর্ব থেকে বড় ধাক্কা খেল জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগ করলেন অসম তৃণমূল সভাপতি রিপুন বোরা। একইসঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়েছেন তিনি।
Myself and some of my colleagues have resigned from @AITCofficial today not because of any other grievance or issue but to respect the ground reality and the sentiment of the people of Assam as the people of Assam do not want to accept TMC. pic.twitter.com/2kszhNfavL
— Ripun Bora (@ripunbora) September 1, 2024
- আচমকা কেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত?
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন রিপুন। রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের সঙ্গে কলকাতায় এসে তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। আড়াই বছর হতে না হতেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সভাপতি হিসেবে অসমের জনগণের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারেননি, সেই কারণেই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন এই নেতা।
আরও পড়ুনঃ মহাপুরুষদের মাঝে মমতার হাসি মুখ! ‘না রাখলে ব্যবসা বন্ধ’, ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল
তৃণমূলে নাম লেখানোর আগে হাত শিবিরের অংশ ছিলেন রিপুন (Ripun Bora)। সেই দলের রাজ্য সভাপতি থাকার পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন। অসমের রাজনীতিতে সুস্মিতার পিতা সন্তোষমোহন দেবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই নেতা। সেই রাজ্যে যথেষ্ট পরিচিত মুখ তিনি। এই রকম একজন নেতা দল ছাড়ায় তৃণমূল জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখানোর কিছু সময়ের মধ্যেই রিপুনের হাতে গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য সভাপতির পদে বসানো হয় তাঁকে। তবে লোকসভা ভোটে অসমে (Assam) একটি আসনেও এবার তৃণমূল জিততে পারেনি। চারটি আসনেই পরাজিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সেই হারের দায় নিয়েই ইস্তফা দিচ্ছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন অসমের এই নেতা।
চিঠিতে রিপুন লিখেছেন, অসমের জনগণ তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল হিসেবেই দেখে। তাঁরা এই দলকে গ্রহণ করেনি। সেই কারণে পরিশ্রমের ফসল তুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। এদিকে রিপুনকে রাজ্য সভাপতির পদে বসানোর পর অসমের বুকে তৃণমূলের শক্তি ক্রমেই বাড়ছিল। ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩১টিতে দলের সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এই নেতা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল ছাড়ার পর ফের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন রিপুন।