বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজোর হইহই শুরু হওয়ার আগেই দুঃসংবাদ! প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তার মাস তিনেকের মাথায় নিভল জীবনপ্রদীপ। সন্দেশখালি ঝড় সামলে বসিরহাটে ঘাসফুল (Trinamool Congress) ফুটিয়েছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সেই হাজি নুরুল ইসলাম। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
সাংসদের আকস্মিক প্রয়াণে শোকের ছায়া (Trinamool Congress)
দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন হাজি নুরুল (Haji Nurul Islam)। লোকসভা ভোটের আগেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিগত ৬ মাস ধরেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে অবস্থার অবনতি হয় বলে খবর। আজ দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদ। নিজের বাসভবনেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
Sad to know of the demise of my valued colleague, our MP of Basirhat, Haji Sk. Nurul Islam.
He was a dedicated social worker in a remote Sundarban area, and he worked hard for the upliftment of poor people in a backward region. People of Basirhat will miss his leadership.
I…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 25, 2024
বহুদিন ধরেই তৃণমূল (TMC) শিবিরের অংশ। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন হাজি নুরুল। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লড়লেও জয়ের স্বাদ অধরা ছিল। এরপর ২০১৬ এবং ২০২১ সালে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে টিকিট পেতেই ফের সাংসদ হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা! দোষী প্রমাণ হলে জেল! হাইকোর্টের নির্দেশে তোলপাড়
সন্দেশখালি কাণ্ডের আবহে নুসরত জাহানের পরিবর্তে অভিজ্ঞ হাজি নুরুলকে দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবির। রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইটা সহজ হবে না বলে মনে করা হচ্ছিল। ফলাফল বেরনোর পর দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছেন হাজি নুরুলই। রেখাকে হারিয়ে ফের একবার বসিরহাটের সাংসদ হন তিনি।
হাজি নুরুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমাদের শ্রদ্ধেয় সহকর্মী তথা আমাদের বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের প্রয়াণের খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উনি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার একজন সমাজসেবক ছিলেন। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের আর্থিকভাবে দুবল মানুষদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন। বসিরহাটের মানুষ ওনার মতো নেতার অভাব অনুভব করবে। ওনার পরিবার, সহকর্মী এবং বন্ধুবান্ধবদের সমবেদনা জানাচ্ছি’।