বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে বর্তমানে ফুঁসছে গোটা বাংলা। দেখতে দেখতে প্রায় এক মাস হতে চলল। তবে প্রতিবাদের ঝাঁঝ এখনও একই আছে। এদিকে রাজ্যজুড়ে লাগাতার আন্দোলনের জেরে ক্রমেই চাপ বাড়ছে শাসক দলের। সংবাদমাধ্যম খুললেই চোখে পড়ছে আরজি কর নিয়ে নানান চর্চা। এই আবহে এবার বাংলার তিনটি সংবাদমাধ্যম কার্যত বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
তিন চ্যানেলে প্রতিনিধি না পাঠানোর ঘোষণা (Trinamool Congress)
রবিবার একটি বিবৃতির মাধ্যমে একথা ঘোষণা করেছে জোড়াফুল শিবির (TMC)। দলের সমাজমাধ্যম প্রোফাইলেও শেয়ার করা হয়েছে সেই বিবৃতির ছবি। সেখানে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট তিনটি সংবাদমাধ্যমে দলের কোনও মুখপাত্র পাঠানো হবে না। একইসঙ্গে তাদের ‘বাংলা বিরোধী চক্র’এর তকমাও দেওয়া হয়েছে।
Statement in connection with the recent media developments pic.twitter.com/e5qvjd4oBm
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 1, 2024
- তৃণমূলের নিশানায় কোন কোন চ্যানেল?
জোড়াফুল শিবিরের (Trinamool Congress) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এবিপি আনন্দ, রিপাবলিক এবং টিভি ৯-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলিতে মুখপাত্র না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ক্রমাগত বাংলা বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, ওদের দিল্লির জমিদারদের সন্তুষ্ট রাখার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির কর্ণধার এবং সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং এনফোর্সমেন্ট মামলা চলছে’।
আরও পড়ুনঃ ‘আইন বিরুদ্ধ… চাই দ্রুত বিচার’, এবার নতুন জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
এখানেই না থেমে বাংলার জনগণের প্রতি একটি বিশেষ আর্জিও করেছে রাজ্যের (West Bengal) শাসক দল। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছে আমাদের আবেদন, এই সংবাদমাধ্যমগুলিতে আলোচনা কিংবা বিতর্কের সময় যদি আমাদের দলের সমর্থন অথবা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে কোনও ব্যক্তিকে উপস্থিত করানো হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির কথা শুনে কেউ বিপথে চালিত হবেন না। আমরা পরিষ্কার করে জানাচ্ছি, দলের তরফ থেকে এই ব্যক্তিদের কোনও অধিকার দেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে তাঁরা দলের অবস্থানের বিষয়ে কিছু বলতে পারেন না’।
দীর্ঘ পোস্টের শেষে তৃণমূলের (Trinamool Conggress) বার্তা, ‘বাংলার জনগণ সবসময় এই বাংলা বিরোধী চক্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চিরকাল মিথ্যে প্রচারের বদলে সত্যকে বেছে নিয়েছে’। আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্য যখন উত্তাল, তখন তিনটি সংবাদমাধ্যমকে কার্যত বয়কটের ঘোষণা তৃণমূলের। উক্ত সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে ‘বাংলা বিরোধী’ প্রচার চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জোড়াফুল শিবিরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।