বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরভোট কড়া নাড়ছে দুয়ারে। দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র কাঁথিতে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগে নিত্যদিন সরব তৃণমূল এবং বিজেপি। এরই মধ্যে পুরভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়।
শুক্রবার বিকেল নাগাদ কাঁথির সুপার মার্কেট শীতলা মন্দির এলাকায় প্রচার সারছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। এই প্রচার চলাকালীনই শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল কর্মীদের। যার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুরো ঘটনায় আহত হন দুপক্ষেরই কর্মী সমর্থকরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুপ্রকাশ গিরিকেও।
জানা যাচ্ছে, এদিন এলাকায় প্রথম থেকে প্রচার করছিলেন সুপ্রকাশ গিরি। কিন্তু এর মধ্যেই একই এলাকায় দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপরই স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ স্লোগান দেওয়ার পরই আক্রমণ চালায় শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীরা। মারধর করা হয় তৃণমূল নেতাদের। কিছুক্ষনের মধ্যেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুতরফের। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ভালো রকম আহত হন একাধিক কর্মী সমর্থক। আহত অবস্থায় সুপ্রকাশ গিরিকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর বুকে আঘাত লেগেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
পুরো ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করে কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানান, ‘প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরি যখন প্রচার করছিল শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ওই দিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃণমূলের কর্মীরা তখন স্লোগান দিচ্ছিল। শুভেন্দু নিজেই সুপ্রকাশকে দেখিয়ে দেন। তারপর তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে মারধর ধরে সুপ্রকাশকে। বন্দুক দিয়ে মারধর করা হয়। ধাক্কাধাক্কিতে সুপ্রকাশ রাস্তায় পড়ে গেলে গলা টিপে ধরা হয় তার। কয়েকজন কর্মী বাঁচাতে গেলে মারা হয় তাঁদেরকেও।’
যদিও পুরো ব্যাপারটিকে অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ হেনেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুদাম পন্ডিত দাবী করেন, এলাকার একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমন করে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘প্রচারে বেরিয়ে এলাকার সব মানুষের কাছেই যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করছেন বার বার।’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে আজই পথে নামছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে এহেন রাজনৈতিক উত্তেজনায় হাইভোল্টেজ কাঁথির ভোল্টেজ যে আরও বাড়ছে তেমনটাই দাবি পর্যবেক্ষক মহলের।