বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে উঠেছিল সবুজ ঝড়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুর্দান্ত ‘পারফরম্যান্সে’র জেরে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে BJP। এবার ফল ঘোষণার সপ্তাহ খানেকের মাথায় সামনে এল অবাক করা তথ্য! খনি প্রকল্পই ভরিয়েছে জোড়াফুল শিবিরের ঝুলি? দাবি করা হচ্ছে এমনটাই।
‘অনুব্রত গড়’ হিসেবে পরিচিত বীরভূম (Birbhum) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) অঞ্চলে লোকসভা ভোটের সময় পরস্পরবিরোধী দুই দাবি শোনা গিয়েছিল TMC এবং বিরোধীদের মুখে। শাসক দলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কয়লা উত্তোলন শুরু হলে প্রচুর কর্মসংস্থা হবে। সেই সঙ্গেই যদি জমি দেওয়া হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পাশাপাশি পরিবারপিছু একজন করে সরকারি চাকরি পাবে।
আরও পড়ুনঃ কোলাঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ! থমথমে গোটা এলাকা, যাচ্ছে ফরেন্সিক টিম
অন্যদিকে বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, এইভাবে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভোটের সময় এই দুই পরস্পরবিরোধী দাবি শোনা গিয়েছিলদুই পক্ষের মুখে। তবে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, এই এলাকায় গতবারের লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে BJP যে এলাকাগুলিতে এগিয়ে ছিল, সেখানে লিড নিয়েছে TMC। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, কয়লা শিল্পাঞ্চল তৈরি করার সুফলই মিলেছে এবারের নির্বাচনে।
ডেউচা পাঁচা অঞ্চলের প্রায় কেন্দ্রে অবস্থিত হিংলো পঞ্চায়েত। সেখানে গেরুয়া শিবিরের থেকে ২৪১ ভোটে এগিয়ে রয়েছে TMC। সেকেড্ডা এবং পুরাতনগ্রাম পঞ্চায়েতেও লিড রয়েছে TMC-র। এই তিন পঞ্চায়েতের পাশাপাশি ভাঁড়কাটা, ডেউচা পঞ্চায়েতেও বাজিমাত করেছে জোড়াফুল শিবির।
এই বিষয়ে TMC-র ব্লক সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যপাধ্যায় বলেন, ‘উনিশের লোকসভা, একুশের বিধানসভা কিংবা তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে এই এলাকাগুলিতে আমরা BJP-র থেকে পিছিয়ে ছিলাম। তবে এবার ডেউচা পাঁচামি প্রকল্পেরকারণে এই প্রথম পাঁচামি এলাকার প্রত্যেক বুথে TMC এগিয়ে রয়েছে। এই প্রকল্পে তাঁরা ঠিক কতখানি খুশি, তা নিজেদের ভোটের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী’।
যদিও একথা মানতে নারাজ BJP। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় বি-মণ্ডল সভাপতি পিনাকী মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা TMC-র ভ্রান্ত ধারণা। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বুথে আমরাও এগিয়ে রয়েছি’। একইসঙ্গে শিল্পের বিরুদ্ধে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানান মহাসভার আহ্বায়ক জগন্নাথ টুডু।