অস্বস্তিতে মহুয়া!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরও একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ডাকা স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে এবার শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। ওই স্মরণসভাকে কেন্দ্র করেই একেবারে প্রকাশ্যে ঘটল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে এই প্রথম নয় মহুয়া মিত্রকে নিয়ে আগেও ছয় বিধায়ক অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস, কল্লোল খাঁ, রুকবানুর রহমান, বিমলেন্দু সিংহ রায়, মানিক ভট্টাচার্য, নাসিরুদ্দিনরা। এবার প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে আরও প্রকট হল অসন্তোষ।

মহুয়ার ডাকা স্মরণসভায় গরহাজির প্রয়াত তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের পরিবার

সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কালীগঞ্জের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের। তাঁর স্মরণে পলাশির ঘোষপাড়া মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্র। অথচ সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না প্রয়াত তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের সদস্যরাই। এছাড়া গরহাজির ছিলেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের অধিকাংশ বিধায়ক। তারপরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।

মহুয়ার বিরুদ্ধে দলের একাংশের অসন্তোষের ছাপ এদিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিনের স্মরণসভায় তাঁর পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়করা গত ৯ ফ্রেব্রুয়ারি  একটি স্মরণসভার ডাক দিয়েছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এরপর দেখা যায় মহুয়া ১৬ ই ফেব্রুয়ারি আরও একটি স্মরণসভার ডাক দিয়েছেন। এরপরেই একজনেরই দু’টি স্মরণসভা ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: সুখবর! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্যপদের ঘাটতি মেটাতে নিয়োগ হচ্ছে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স

সূত্রের খবর জটিলতা দূর করতেই  উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য নেতৃত্ব। ৯ তারিখ স্মরণসভা করতে বারণ করা হয় তাঁকে। এরপর রাজ্য কমিটির ডাকা স্মরণ সভার বদলে প্রয়াত বিধায়কের পরিবারের আহ্বানে ওই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিধায়কের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, চাপড়ার বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress)  চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান, এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যরা। অথচ সেদিন ওই সভায় দেখা যায়নি মহুয়া মৈত্রকে।

MAhua

কারণ জানিয়ে মহুয়া অবশ্য দাবি করেছেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নয়, পার্লামেন্টে থাকার জন্যই আগের দিনের স্মরণসভায় যেতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে একইভাবে মহুয়ার ডাকা সভায় না থাকার জন্য একেক জন বিধায়ক একেক রকম কারণ জানিয়েছেন। তবে প্রয়াত বিধায়কের পরিবারের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর