মা কালী নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যকে সমর্থন করে না দল! বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানাল তৃণমূল কংগ্রেস

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি কালীমূর্তির পোস্টার। আর সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য। দুটো ঘটনায় যেন বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিল। বিধায়ক নির্মল মাঝি এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্যকে ঘিরে যখন বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে তীব্র চাপানউতোর চলছে সেই সময়েই মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে ঘিরে শাসক দল তৃণমূল আরও অস্বস্তিতে পড়লো।

এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কী নিয়ে বিবাদ বাধলো এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দলের তরফেই বা কী বার্তা পাঠানো হলো। কানাডায় একটি তথ্যচিত্রের পোস্টারে মা কালীর ছবির সম্পর্কে বলতে গিয়ে মহুয়া দাবি করেন, ‘আমার কাছে মা কালী মাংস ও অ্যালকোহল গ্রহণকারী দেবী। তারাপীঠে গেলে দেখবেন সাধুরা ধূমপান করছেন।’ পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “তারাপীঠে মা কালীর মন্দিরে গেলেই দেখতে পারবেন, সেখানে কী খাবার ও পানীয় ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়।” আর তাতেই বাধে বিপত্তি। মহুয়ার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে।

এরপরেই বিরোধীদের তরফে কটাক্ষ শুরু হলে রীতিমতো ঘাড় থেকে দায় নামাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দল তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘মা কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। দল তা সমর্থন করছে না। এই মন্তব্যের নিন্দা করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।’

Screenshot 2022 07 05 at 8.14.14 PM

এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসকে খোটা দিতে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’তৃণমূল সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে।”শুধু তাই নয়, আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেন বিরোধী দলনেতা। তার কথায়, “নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ করবেন।’ সব মিলিয়ে, তৃণমূলের তরফে টুইট করা হলেও ওয়াকিবহাল মহলের মতে রীতিমতো চাপে পড়েছে শাসক দল।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর