বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতিতে একে উপরের সমালোচনা, নিন্দা করাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ একে অপরের সমালোচনা না করলে জনগণও জানতে পারবে না, কার ভুল কতটা। কিন্তু এর থেকে বেশি যখন রাজনীতিতে কেউ কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অথবা কেউ কারোর বিরুদ্ধে অভদ্র ভাষা প্রয়োগ করে, তখন কিছু মানুষ আনন্দ উপভোগ করলেও বেশীরভাগ মানুষের কাছেই খারাপ একটা বার্তা যায়।
তবে রাজনীতিতে কুকথার ইতিহাসও কিছু কম নয়। এর আগেও রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে অনেক কুকথা শোনা গিয়েছে। তবে এবার কুকথা না, এবার কুরুচিপূর্ণ দেওয়াল লিখন রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লেগেছে, সেটা সকলেরই জানা। এমনকি তিনি হুইলচেয়ারে বসে যে প্রচার করছেন সেটাও সকলেই দেখতে পারছে। কিন্তু ওনার পায়ের চোটকে বড় করে দেখানোর জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করে দেখানো যে কোনও ভাবেই শালীনতার পর্যায়ে পড়েনা সেটা ভালো করেই জানে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দেওয়াল লিখনের ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাতপ্রাপ্ত পা দেখা যাচ্ছে আর নার ঠিক পায়ের নীচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাথা দেখা যাচ্ছে। পাশে লেখা আছে ‘খেলা হবে।” সম্প্রতি এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে একটি পুরনো ঘটনাকে। যা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের কোনও এক ক্রিকেট ভক্ত একটি ছবি বানিয়েছিল। সেই ছবিতে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাটা মাথা বাংলাদেশের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের হাতে দেখা গিয়েছিল। সেই ছবির পর গোটা ক্রিকেট বিশ্বে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। আর আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের যেই দেওয়াল লিখন ভাইরাল হচ্ছে। সেই দেওয়াল লিখনকে অনেকেই ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সেই বিতর্কিত ছবির সঙ্গে তুলনা করছেন।
বিজেপির নেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই ছবি শেয়ার করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ধিক্কার জানাই মাননীয়ার এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর মাথায় পা রেখে তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে হয়… বাংলার সংস্কৃতির স্বার্থে বলছি, অবিলম্বে এই নক্কারজনক রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে দিকে-দিকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিটি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন… বিজেপি জিন্দাবাদ… ”
স্বভাবতই এরকম কুরুচিকর দেওয়াল লিখন এর আগে কোনদিনও দেখেনি বাংলা। আর এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।