হেলে পড়া বেআইনি বহুতল কাণ্ডে নাম জড়াল TMC কাউন্সিলরের! বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার আচমকাই ভেঙে পড়ে শহর কলকাতার বাঘাযতীনের (Bagha Jatin) একটি চারতলা বহুতল। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এই নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কাউন্সিলর এবং তাঁর দলের নেতারা সংশ্লিষ্ট আবাসনের প্রোমোটার ও তাঁর বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা।

তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ স্থানীয়দের!

গতকাল বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির শুভ অ্যাপার্টমেন্ট আচমকাই হেলে পড়ে। এবার এই নিয়ে স্থানীয়দের দাবি, ২০১২-১৩ সাল নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে ওই বহুতল তৈরি হয়। প্রতিবাদ জানানো হলেও প্রোমোটার তাতে কান দেননি। এখন প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দায় এড়াতে পারবে না পুরসভা।

এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন একজন স্থায়ী বাসিন্দা। সুবীর দে নামের সেই ব্যক্তির অভিযোগ, ‘সবাই জানে বাড়িটা অবৈধ। বাড়ি নির্মাণের সময় পুরসভার লোক সকাল বিকেল বাড়ির সামনে দিয়ে ঘুরেছে। কেউ কোনও বাধা দেয়নি। শেষে চারতলার ঢালাই শুরু করার সময় আমরা প্রোমোটারকে বাধা দিই। তবে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে প্রোমোটার আবাসন তৈরির কাজ চালিয়ে যান’।

আরও পড়ুনঃ শুক্রবার অবধি সময়! এবার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?

এখানেই না থেমে ওই স্থানীয় বাসিন্দা আরও বলেন, ‘এখন প্রোমোটার এবং বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে নিজেদের দায় এড়াতে চাইছে পুরসভা। তবে এত সহজে দায় এড়ানো যাবে না। আমরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা করব’।

Bagha Jatin illegal construction Trinamool Congress Councilor name got involved

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বাঘাযতীনের ওই হেলে পড়া ওই বেআইনি বহুতলের (Illegal Construction) বাসিন্দারাও। সংশ্লিষ্ট আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে বাড়িতে বিদ্যুৎ জলের সংযোগ রয়েছে। প্রোমোটার মিউটেশন করিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক বছর যে বাড়ি থেকে ট্যাক্স নিচ্ছে পুরসভা, সেটা অবৈধ কী করে জানব?’

অন্যদিকে এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘কেউ অবৈধ বাড়ি না জেনে কিনেছে এটা হতেই পারে না। ওই বাড়ি, ফ্ল্যাট অর্ধেক মূল্যে বিক্রি হয়েছে। আর কোথাও যদি মানুষ থাকে তাহলে পুরসভাকে জল, বিদ্যুতের সংযোগ দিতেই হয়। তার মানে সেই বাড়ি বৈধ হয়ে যায় না’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর