বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিরোনামে আবার আবাস যোজনা। কেন্দ্রীয় প্রকল্প আবাস যোজনায় ইতিমধ্যে একাধিক দুর্নীতির ঘটনায প্রকাশ্যে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যোগ্য প্রার্থীর বদলে নাম রয়েছে শাসক দল তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠ আবেদনকারীদের। অথচ তাদের দোতলা বাড়ি থেকে শুরু করে সম্পত্তি, অভাব নেই কোনো কিছুরই।
আবাস প্রকল্পে বড় দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে
আবাস প্রকল্পের এই দুর্নীতির চক্করে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রকৃত যোগ্য আবেদনকারীরা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক দুর্নীতির ঘটনা। এবার এই দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পৌরসভা। এখানে এমন অনেক গ্রামবাসী রয়েছেন যাদের এখনও পাকা বাড়ি তৈরি হয়নি। বহু মানুষ মাটির বাড়িতেই থাকেন। কেউ আবার ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কোনরকমে ত্রিপল টানিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু করেছেন।
অথচ আবাস যোজনার সরকারি প্রকল্পের তালিকায় কোত্থাও নাম নেই এই সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের। তবে বাড়ি পেয়েছেন এই গ্রামের অপর একজন বাসিন্দা। তিনি হলেন পেশায় শিক্ষক তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের স্ত্রী। অথচ তার আগে থেকেই রয়েছে এক পেল্লাই দোতলা পাকা বাড়ি।
আবাস যোজনায় এই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রামজীবনপুর এলাকায়। যদিও পুরো প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে দাবি করছেন, ‘যোগ্যরা বাড়ি পাননি এমন ঘটনা দেখান দেখি।’ এই ঘটনায় আক্ষেপের সুর গ্রামবাসীদের গলায়।
আরও পড়ুন: ‘হোটেলে খেতে গেলে তাড়িয়ে দিন!’ প্রতিবাদ নয় প্রতিশোধ নেওয়ার নিদান RSS-র
এপ্রসঙ্গে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে আক্ষেপের সুরে এক গ্রামবাসী বললেন, ‘ আমরা এই ভাঙাচোরা ঘরে থাকি। আমাদের খাস জমি দেবে বলে মদ – মাংস খাওয়াতে বলেছিল। আমরা খরচ করে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের সে সব খাওয়াই। তার পরেও জমি পাইনি। এর পর ঘর দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকায় চায়। আমরা অত টাকা কোথায় পাব?’
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে মাটির ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকা যোগ্য প্রার্থীরা পাকা বাড়ি না পেলেও দোতলা বাড়ির তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী কি করে আবাস প্রকল্পে বাড়ি পেলেন? অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপির কটাক্ষ, ‘দুর্নীতি যে হচ্ছে তা পুরসভা ও বিডিওকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তৃণমূল নেতারা মিলে মিশে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে।’যদিও পুরো প্রধান কল্যাণ তিওয়ারির দাবি,’যোগ্য লোক ঘর পায়নি এমন ঘটনা দেখান দেখি। যা যে কজন বাকি আছে তাদের ঘর দেওয়ার জন্য সমীক্ষা চলছে।’