বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক দলের নেতা নেত্রীরা কোমড় বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উপস্থিত হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
কিন্তু, শাসক দলের তৎপরতার পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এদিকে, চলতি মাসের শেষের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পা রাখার কথা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই জেলায় প্রস্তুতি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রস্তুতি বৈঠকের দিনেই জেলার মোহনপুরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে।
ফলে, চরম অস্বস্তিতে ভুগছে ঘাসফুল শিবির। অভিযোগ উঠেছে মোহনপুরে তৃণমূলের দুই পক্ষের গন্ডগোলের জেরে সিয়ালশাই দু’নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বশরুল আলির অনুগামীরা মাজেদ মল্লিক নামে অপর গোষ্ঠীর এক কর্মীকে রাস্তা ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সূত্রের খবর, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়।
শুধু তাই নয়, আহত তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির হাত ধরে সদ্য বিজেপি ছেড়ে যোগদান করানো অনুগামীরাই এই কাজ করেছে বলেও দাবি করা হয়। যতক্ষণ না দোষীরা শাস্তি পাবে ততক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ অবস্থান, রাস্তা ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘাসফুল শিবিরের দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করে নেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। অজিত বাবু জানান, “কয়েকটা ব্লকের মধ্যে মোহনপুরে তৃণমূলের নিজেদের মনমালিন্য চলছে। সমস্যা মেটাতে কাল থেকে যে ব্লকগুলিকে নিয়ে বসব তার মধ্যে মোহনপুর রয়েছে। এসব জিনিস একদম বরদাস্ত করব না। কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে শোকজ করা হতে পারে অভিযুক্ত নেতৃত্বকে।”