বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পহেলগাঁও কাণ্ডের (Pahalgam Terror Attack) পর ভারত-পাকিস্তানের টানাপড়েন চরমে ওঠে। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর তা আরও বড় আকার নেয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিনা প্ররোচনায় গোলাগুলি চালায় পাক সেনা। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক নিরীহ মানুষ। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর, পুঞ্চ, রাজৌরির মতো এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার সেখানে যাচ্ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) সেকথা জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতিনিধিদলে কারা রয়েছেন?
এদিন দুপুরে তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শ্রীনগর, পুঞ্চ ও রাজৌরিতে যাবেন। সেই দলে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া, সাগরিকা ঘোষ ও মমতাবালা ঠাকুর। আগামী ২১ মে থেকে ২৩ মে অবধি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলির সঙ্গে তাঁরা দুঃখ ভাগ করে নেবেন।
Under the guidance of AITC Chairperson @MamataOfficial, a 5-member delegation will be proceeding to Srinagar, Poonch, and Rajouri
The delegation comprising @derekobrienmp @MdNadimulHaque6 @ManasB_Official @sagarikaghose and Mamata Thakur, will be in the region from May 21 to 23…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 20, 2025
ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে দেদার গোলাগুলি চালিয়েছিল পাক সেনা। তাতে শ্রীনগর, রাজৌরি ও পুঞ্চ নিবাসী ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা চল্লিশেরও বেশি। সেই সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। এবার সেখানেই পরিদর্শনে যাচ্ছে তৃণমূলের (TMC) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বুধবার থেকে শুক্রবার অবধি সেখানেই থাকবেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসের কথা বিশ্বকে জানাতে শহিদ পরিবারের সদস্যরা যাক! বড় প্রস্তাব অভিষেকের, কী বলল কেন্দ্র?
এর পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশ্বদুনিয়ায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্র যে বহুদলীয় প্রতিনিধিদল গড়েছে, তাতে প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুর ও ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে রাজনৈতিক বিরোধিতা ভুলে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল (Trinamool Congress) সহ সকল বিরোধী দল। দেশরক্ষা ও জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, জোড়াফুল শিবির তার পাশে দাঁড়াবে। সোমবার ফের একবার একথা স্পষ্ট করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।