বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তার পূর্বে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। দলের ভিতর গোষ্ঠী কোন্দলের জোরে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি আর সেই ধারা বজায় রেখে এবার মালবাজারে (Malbazar) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে মারামারির কারণে গুরুতর আহত হন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং আরো দুই মহিলা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিন মালবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ এবং পরবর্তীতে মারধরের কারণে গুরুতর আহত দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এবং বিনা লোহার নামে এক মহিলা। বিনাদেবী ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলের অজয় লোহারের মা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সামিল হয় তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে নেতারাও। পরবর্তীতে তাদের বিবাদ হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। সূত্রের খবর, মালবাজার পুরসভার তরফে ঘর বন্টনের টাকার হিসাব চেয়েছিলেন পুলিন গোলদার। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল সভাপতি অমিত কুমার দে এবং এরপর তাঁর অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে অপর এক তৃণমূল কাউন্সিলর অজয় লোহারের মা সেখানে উপস্থিত হলে তাঁকেও মারা হয়।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিনবাবু বলেন, “পুরভবনে প্রবেশ করতে গিয়েছিলাম। তখন আমাকে নিগ্রহ করা হয়।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অপরদিকে অমিত কুমার দে জানান, “যারা এই অভিযোগ করছে, তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্রমাগত ঝামেলা হয়ে চলেছিল। আমি পরিস্থিতিকে শান্ত করতে গিয়েছিলাম। এই ঘটনা সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু জানিনা।”
শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এমনকি এই সুযোগে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা নবীন সাহা বলেন, “গোটা বাংলা জুড়ে যেভাবে উন্নয়নের রাজনীতি হয়ে চলেছে, তার ঢেউ আজ আমাদের এখানে এসে পড়ল। আসলে তৃণমূলের অন্দরে যেভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়ে চলেছে, তার চেহারাই এদিন ধরা পড়েছে।”