বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য রাস্তা থেকে জল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে রয়েছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই জেল খেটেছেন তৃণমূলের বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে এবার মোটা টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূলের আরও এক প্রভাবশালী নেতা। যদিও এই প্রবীণ নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৪ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার এই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা
পুলিশের হাতে গ্রেফতার এই তৃণমূল নেতা হলেন কৃষ্ণনগরের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন শহর সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী (Shivnath Chowdhury)। আদালতের নির্দেশ মিলতেই আজ তাঁকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিলেন। মামলাটি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই গ্রেপ্তার হলেন এই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। অভিযোগকারিণীর দাবি ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নদীয়া জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান থাকাকালী শিবনাথ চৌধুরী মোট ১৪ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন।
শুধু তাই নয়! প্রবীণ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ শিবনাথ চৌধুরী নাকি তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। মহিলার অভিযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আদালতের নির্দেশ পেয়ে ওই কীর্তিমান তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: দোলের আগেই খুশির খবর! সরকারি কর্মীদের DA নিয়ে বড় আপডেট
তৃণমূল নেতা শিবনাথ যখন সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন, সে সময়ে বেশ কয়েকজন গ্রাহক আমানত করা টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারিণী ওই মহিলাও তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর স্পষ্ট দাবি, তাঁকে নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। টাকা তছরূপ থেকে শুরু করে মহিলার সঙ্গে খারাপ আচরণের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।
আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার কৃষ্ণনগরের ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ওই সময়ে যাঁদের টাকা আটকে গিয়েছিল তারা সবাই নাকি পরে তাঁদের টাকা ফেরত পেয়েছেন। তাই প্রতারণার অভিযোগই ওঠে না বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসাথে এদিন তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট নাকি এই মামলাটি বৃহস্পতিবার ডিসমিস করে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।