বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ২১ জানুয়ারি আরও একবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী সফরে আসার আগেই আবার কোচবিহারে মাথা চাড়া দিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শনিবার সিতাইয়ের বড় আটিয়াবাড়িতে তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সভা ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, জেলার সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া,এবং কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই শুরু তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীকোন্দল
যদিও ওই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন না দলেরই (Trinamool Congress) অন্য গোষ্ঠীর নেতা তথা প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়। আগেও দিনহাটার বিধানসভা ভিত্তিক সভাতেও দেখা যায়নি তাঁদের। শনিবারের ওই সভা থেকেই নাম না নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়’কে একে একে আক্রমণ শানালেন উদয়ন গুহ, জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ারা।
শুরুতেই ‘দলছুট হাতি’র সঙ্গে তাঁদের তুলনা করে তাঁদের কটাক্ষ করেছেন জগদীশ। কারও নাম না নিয়েই এদিন তিনি বলেছেন, ‘হাতি যদি দলছুট হয় তাহলে কোনো না কোনো পাড়ায় গিয়ে ঢুকে পড়ে। তখন বনদপ্তর কুনকি হাতি নিয়ে আসে। ঘুম পাড়ানি গুলি করে সেই হাতিকে আবার দলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের এখানেও দুই একজন দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। সেই খবর ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের মালিকের কাছে গিয়েছে। তিনি এসেই ঘুমপাড়ানি গুলি করে দলছুট হাতিদের ফিরিয়ে দেবে।’
আরও পড়ুন: বিরাট কড়াকড়ি! নার্সদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন
কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে, ‘কাকা-ভাইপো’ বলে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ এবং পার্থপ্রতিম। তাঁদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, উদয়ন গুহ-ও। এদিন তিনি বললেন, ‘ওরা এখন কীর্তন করছেন। তার উদ্দেশ্য দলের জেলা সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর পদ কিভাবে চলে যায়,সেই চেষ্টা করা।’
একযোগে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পার্থপ্রতিম রায়কে এদিন কটাক্ষ করেছেন দলের জেলা সভাপতিও। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ বলেছেন, লোকসভায় জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তিন লক্ষ ভোটে হারবেন। গণনার সময় পরিস্থিতি বদলাতেই তাঁরা গণনা কেন্দ্রের সামনে এসে আবির মেখে নিজস্বী তুলেছেন।’ এই কটাক্ষ শুনে রবীন্দ্রনাথ কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে পার্থপ্রতিম বলেছেন, ‘ যাঁরা এসব বলছেন তাঁরা- এর ব্যাখ্যা দেবেন।’