দলের মৃতপ্রায় অবস্থা! ভোটের মুখে বেফাঁস তৃণমূল প্রার্থী, অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের শাসক দল! তবুও নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের মৃতপ্রায় দশা। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) প্রাক্কালে এমন মন্তব্য শোনা গেল খোদ জোড়াফুল প্রার্থীর মুখে। বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ায় দলের জেলা কার্যালয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। সেখানেই এই মন্তব্য করেন বলে খবর।

গতকাল বাঁকুড়া (Bankura) ২ নম্বর ব্লকের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী অরূপ। সেখান তিনি বলেন, ‘যদি একজোট হয়ে দল করতে পারেন তাহলে থাকবেন নাহলে চলে যান। এই মুমূর্ষু অবস্থা আমি দলের ভাগাভাগি করতে দেব না। দরকার হলে বিক্ষুব্ধদের পায়ে ধরব। এখন একটা সংকটের অবস্থা। কে বড় আর কে ছোট সেটা দেখার সময় নেই। মান অভিমান দূরে সরিয়ে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে’।

তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীর মুখে দলের ‘মুমূর্ষু অবস্থা’র কথা শুনে তোপ দাগেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী। অরূপ চক্রবর্তী সত্যি কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে অরূপকে তাঁর বক্তব্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়।

আরও পড়ুনঃ মহুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে কী কী পেল CBI? ফাঁস হল সব

জবাবে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে অনেকে ভুল বুঝে অন্য দলে চলে যান। তাঁরা আমাদের দলের সম্পদ। কারোর ব্যবহারে যদি তাঁরা রাগ করে থাকেন তাহলে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব। তবে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই লড়াই করব’।

এদিকে অরূপের মন্তব্যের পর বিজেপি প্রার্থী বলেন, তৃণমূলের আসল দশার কথা উনি বলে দিয়েছেন। ভোট ময়দানে নামার আগেই জোড়াফুল প্রার্থী হার স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন পদ্ম-শিবিরের সুভাষ।

arup chakraborty tmc candidate

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে বাঁকুড়ার তৃণমূল শিবিরে একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছিল। বাংলার একাধিক রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। এই সকল নির্দল প্রার্থীদের আর দলে না ফেরানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর শোনা গেল তৃণমূল প্রার্থীর গলায়!

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর