কর্ণাটকে খেলা ঘুরতেই জনতাকে অভিনন্দন! তবুও হাত শিবিরের ‘সাফল্যে’ মৌন মমতা,অভিষেক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই প্রবাদটি খুব বেশি করে ব্যবহৃত হয়। তেমনভাবে বাংলায় তৃণমূলের রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি কর্নাটকে পরাজিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি ঘাসফুল শিবির। তাই স্বাভাবিকভাবেই শনিবার কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভার ফল প্রকাশ হওয়ার পরই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে লক্ষণীয় ব্যাপার এই যে কর্নাটকে কংগ্রেসের সাফল্য নিয়ে কংগ্রেসকে কোনও রকম অভিনন্দন জানাননি তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee) কিংবা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বহুত্ববাদ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে জেতাতে সাধারণ মানুষ যখন মরিয়া হয়ে ওঠে তখন সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থানকে কেন্দ্রীয় নকশা দমন করতে পারেনা।

কর্ণাটক বিধানসভার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, “এই জয়ের জন্য অভিবাদন জানাই কর্নাটকের সাধারণ মানুষকে। তারা স্পষ্টভাবে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। পর্যদুস্ত হয়েছে নির্লজ্জ স্বৈরাচার ও সংখ্যাগুরুবাদের রাজনীতি।” পাশাপাশি তিনি সরকার বদলকে “গল্পের নীতিপাঠ” বলেও উল্লেখ করেন। তার কথায়, এটাই আগামী দিনের শিক্ষা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে কিছুটা সরল করে দেখাতে চেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কথায়, বিজেপি ধর্ম নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি করছিল তা মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এটাই হল নো ভোট টু বিজেপি। বাংলার পর কর্নাটকের মানুষও প্রমাণ করল যে তারা বিজেপিকে চায় না। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও তারা ল্যাজেগোবরে হবে।

তবে কর্নাটক বিধানসভার ফল নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা কিংবা অভিষেক কেউই কংগ্রেসকে নিয়ে কোনও শব্দ খরচা করেননি। কংগ্রেসের ভারতজোড়া যাত্রার প্রভাব কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কতটা পড়েছে এই নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, মানুষ মনস্থির না করে ফেললে এইসব যাত্রার কোনও মূল্য থাকে না। সেই যাত্রা রাহুল গান্ধী করুক কিংবা অভিষেক করুক।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর