এতেও কাটমানি! ‘বাড়ি বিক্রি করে হলেও ৬০০০ দিতেই হবে’! বাংলা আবাসের টাকা ঢুকতেই ফোন তৃণমূল নেতার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা আবাস যোজনার (Bangla Awas Yojana) দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠিয়েছে সরকার। তারপরেই টাকা চেয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার ফোন আসতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া ১ নং ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের বরমপুর গ্রামে। অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেতা সঞ্জয় দাস আবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বরমপুরের দাসপাড়া নিবাসী চাঁদু দাস নামের উপভোক্তা।

অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা আগেও ৫০০০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ

জানা যাচ্ছে, অভিযোগকারী চাঁদু অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে কোনও রকমে সংসার চালান। বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাওয়ার পর নিজের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর বাড়ির পাশে নিজের জায়গায় বাংলা আবাসের বাড়ি তৈরি করছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কয়েক দিন আগে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকতেই গ্রামের ৮ নং সংসদের পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ভরি দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস তাঁকে ফোন করে টাকার দাবি করেন।

চাঁদুর অভিযোগ, সঞ্জয় ৬০০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। স্পষ্ট জানান, প্রথম কিস্তির জন্য ৫০০০ টাকা দিয়েছেন। দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ফের টাকা দিতে পারবেন না। একথা শুনে সঞ্জয় বলেন, দলের ফান্ডে টাকা দিতে হবে। দরকার হলে বাড়ি বিক্রি করে হলেও দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ নম্বর বিভাজনে বদল, প্রকাশ্যে নিয়োগের নতুন বিধি! চাকরিহারা শিক্ষকদের কতটা সুবিধা হবে?

অভিযোগ, বাংলা আবাসের (Banglar Bari) প্রথম কিস্তির টাকা আসার পরেও অনেকের থেকে ৫০০০ টাকা করে নিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয়। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকতেই ফের টাকা চাওয়া শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই মোবাইলে টাকা চাওয়ার কথোপকথন সামনে এসেছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।

চাঁদু জানিয়েছেন, সঞ্জয়কে টাকা দেবেন না বলায় জোরজুলুম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। চাঁদুকে তিনি টাকা ধার দিয়েছিলেন, সেটাই ফেরত চেয়েছেন।

trinamool congress tmc flags

অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্যা ভরি বলেন, কী ঘটেছে জানি না। আমার স্বামী যদি টাকা চেয়ে থাকে, তাহলে ভুল করেছে। এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। দোষ করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বিডিও এখনও চাঁদুর অভিযোগ পত্র দেখেননি বলে খবর।

উল্লেখ্য, বাংলা আবাস যোজনার কিস্তি ঢোকার পর বহু তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও নানান সময়ে বেশ কয়েকবার এই অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার তৃণমূল নেতা তথা শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠল। যদিও তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আগামীদিনে এই ইস্যু কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X