বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কড়া ডোজ পড়তেই সুর নরম। চার ঘণ্টা সময় দিয়েছিল দল। কিন্তু তার অনেক আগেই ক্ষমা চাইলেন বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুর থানার (Bolpur Police Station) আইসিকে ‘হুমকি’ অশ্রাব্য গালাগাল দেওয়ার অভিযোগে কেষ্টর উপর খড়্গহস্ত হয়েছিল দল। তার প্রেক্ষিতেই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা বললেন, ‘কোন পুলিশ বন্ধু আমাকে ভুল বুঝলে দুঃখিত আমি দুক্ষিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত | Anubrata Mondal
এদিন লিখিতভাবে অনুব্রত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সাধারণ কর্মী থেকে একজন বড় অফিসার সবাই দিদির কাছের মানুষ তাদেরকে অপমান করার কথা ভাবতে পারিনা। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে একবার কেন ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খায় দিদির পুলিশে বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সত্যি আমি দুক্ষিত।”
এরপরই অনুব্রত লিখেছেন, “কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে তিনটে মুহুকুমা বোলপুর সিউড়ি রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কিকরে, আমার আর আমাদের বোলপুরের আই সি সাথে গাল মন্দর ফুটেজ পেল? কে দিল? কোন চক্রান্ত নেই তো?” প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কেষ্ট।
তবে সবশেষে পুলিশকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে অনুব্রত লেখেন, “কোন পুলিশ বন্ধু আমাকে ভুল বুঝলে দুঃখিত আমি দুক্ষিত ও ক্ষমাপ্রার্থী.” প্রসঙ্গত অডিও কাণ্ডের পর তৃণমূলের কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজে সমাজমাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলকে নিঃশর্ত ক্ষমার কথা জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: IC-কে গালাগাল দিয়েই পুড়ল কপাল! কমানো হল অনুব্রতর নিরাপত্তা, আর কী কী পদক্ষেপ নিল তৃণমূল?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএস আইনের চারটি ধারায় (২২৪, ১৩২, ৩৫১ ও ৭৫) অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো ক্লিপের (ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট) থেকে ঘটনার সূত্রপাত।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AyJohssEM80?si=lEJTokHPBNNTurw0
ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়, ফোনে কথোপকথনে এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। অভিযোগ ওঠে, ফোনের একপ্রান্তে অনুব্রত এবং অপর প্রান্তে বোলপুর থানার আইসি লিটন। আইসি-কে গালিগালাজের পাশাপাশি আইসি-র স্ত্রী এবং মায়ের নামেও গালিগালাজ করা হয় অডিয়োতে। যদিও অনুব্রত বলেছিলেন, ওই কণ্ঠ তার নয়। এরই মধ্যে এবার ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল নেতা।