বাংলা হান্ট ডেস্ক : সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র (firearm) নিয়ে ঘুরছিলেন এক তৃণমূল নেতা। বুঝতে পেরেই গ্রেফতার করল পুলিস (Police arrested Canning TMC leader)। তাঁরই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তিন সঙ্গীকেও। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তৃণমূল নেতা খলিল আলি মোল্লা ও তার তিন সঙ্গীকে নিয়ে একটি গাড়িতে করে ক্যানিং (Canning) থেকে বারুইপুরের দিকে যাচ্ছিল। পুলিসের গাড়ি দেখেই তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এরপরই সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিসও গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে। ক্যানিং থানার বাহিরসোনা এলাকায় গাড়িটিকে পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা খলিল আলি মোল্লা ও তার তিন সঙ্গী আমিনউদ্দিন মোল্লা, রমজান মোল্লা, নজরুল লস্করকে। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের ঠাকুরানিবেড়িয়ার সুন্দিপুকুরিয়া এলাকায়। তাদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি চপার, এক রাউন্ড গুলি, ছ’টি মোবাইল ফোন এবং নগদ বেশ কিছু টাকা (money)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খলিল আলি মোলা ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা শৈবাল লাহিড়ীর ঘনিষ্ঠ এবং ২০১৯ এ দাঁড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছিল। ২০১৯ এ ২৪ ফেব্রুয়ারি দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম নস্করের স্বামী রাজু ওরফে কার্তিক নস্কর খুন হন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় খলিলের। পুলিশের দাবি, রবিবার রাতে দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি বাবুরালি লস্করকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল খলিল। সেই লক্ষেই সঙ্গীদের নিয়ে যাচ্ছিল সে।
বাবুরালিও দাবি করেন, তাঁর কাছ থেকে এলাকার ক্ষমতা কেড়ে নিতেই খুনের (murder) ছক কষা হয়েছিল। তিনি বাড়ির বাইরে আসলেই খুন করা হত। সেটা পুলিস আগে জানতে পেরেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে।
ক্যানিং থানার এক পুলিস আধিকারিক জানান, ‘আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসছিল যে এই চারজন দুষ্কৃতী কিছু একটা পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য ছিল না বলে আমরা গ্রেফতার করতে পারছিলাম না। কিন্তু কাল সন্ধ্যেবেলা এই বিষয়ে আমাদের কাছে পাকা খবর আসে যে এরা একজনকে খুন করার পরিকল্পনা করেছে এবং সেই খুন আজকের মধ্যেই হতে পারে। তখন আমরা অ্যাকশন নিই, ও অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করি।’