বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে গোটা রাজ্যবাসীর নজর বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) দিকে। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যজুড়ে সকল কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে এদিন নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে আর এবার তমলুকে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি মামলা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তা কেন্দ্র করে অতীতে একাধিক সময় শাসক দলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এর মাঝেই এদিন বৃহত্তর আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে বিজেপি নেতৃত্ব। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভায় একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ঝাণ্ডার পরিবর্তে ডান্ডা রাখুন।” আবার অপরদিকে, দিলীপ ঘোষ ‘কাঁচা বাঁশ’ কেটে রাখার নিদান দেন বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের। এহেন হুঁশিয়ারি মাঝি এদিন বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে উঠে এসেছে।
সেই ধারা বজায় রেখেই বর্তমানে ধুন্ধুমার বেধেছে তমলুক টোল প্লাজা এলাকায়। এদিন সকালে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে আটকে দেওয়া হয় আর তার প্রতিবাদেই পরবর্তী সময়ে রাস্তা অবরোধ করে বসে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
সূত্রের খবর, অবরোধ চলার সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তারক জানা। সেই সময় তাকে মারধর করার পাশাপাশি জামা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “গতকাল এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার লাগিয়েছিলাম। সেগুলি ছিঁড়ে দিচ্ছিল বিজেপি আর তা বাধা দেওয়ার জন্য যেতেই ওরা আমার পথ আটকায় এবং পরবর্তীতে মারধর করে।”