বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitmemt Scam), গোরু পাচার (Cow Smuggling Case), কয়লা পাচার (Coal Smuggling Case) – রাজ্য এখন তোলপাড় হচ্ছে এই তিনটি দুর্নীতি নিয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আনাচে কানাচে যে কোনও সময় হানা দিচ্ছেন সিবিআই (CBI) নাহলে ইডি (ED) আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নথির পর নথি।
আর এরকমই প্রচুর নথি পোড়ানো হচ্ছে বিশাল এলাকা জুড়ে, এই খবর পেয়েই সব কাজ ফেলে রেখে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এলেন সিবিআই আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ভাঙড়ের মাঠে পোড়া নথি ঘাঁটার পরই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI called TMC Leader)।
এজেন্সির ফোন পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। বলেন, ‘কিছু প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসিতে ঝুলে পড়ব।’ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভাঙড়ের নথি পোড়ানোর ঘটনাকে (Bhangar Paper Burning Case) কেন্দ্র করে তুলকালাম চলছে রাজ্য জুড়ে।
ভাঙড়ের এক মাঠে সরকারি নথি পোড়ানো হচ্ছে বলে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সিবিআই। আগুনের মধ্যে থেকে পোড়া নথি উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কীসের নথি পোড়ানো হচ্ছিল, কার জমিতেই বা এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছিল, সেইসব তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
শোনা যায়, যে জমিতে এইসব নথি পোড়ানো হচ্ছিল, সেই জমি নাকি রাকেশ রায়চৌধুরী নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নামে রয়েছে! সূত্রের খবর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে জল্পনা ডানা মেলেছে, তা খতিয়ে দেখতে রাকেশকে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
যথারীতি ফোন যায় রাকেশের কাছে। যদিও এই জমির কথা অস্বীকার করেন রাকেশ। তিনি বলেন, ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় তাঁর কোনও জমি নেই। তিনি আরও দাবি করেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমার যোগ যদি একচুল প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি ফাঁসিতে ঝুলব। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।’