বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। তার আগে ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি, তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রত্যেকে। কারোর লক্ষ্য বাংলার মসনদ দখল, কেউ আবার কুর্সি ধরে রাখতে মরিয়া। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের (TMC) জনপ্রতিনিধিদলের দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দলেন দলের এক নেত্রী। কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দলের বৈঠকে পরপর অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী
সম্প্রতি শালতোড়ায় তৃণমূলের একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী অনুসূয়া রায়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে পরপর তিনটি বৈঠকে কেউ অনুপস্থিত থাকলে যেমন সাম্মানিক বন্ধ করা হয়, সেই রকমই দলীয় বৈঠকে পরপর গরহাজির থাকলেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের পরেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। দলীয় কর্মসূচিতে হাজির না হলে একজন জনপ্রতিনিধির সরকারি সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়া কতখানি সংবিধানসম্মত? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP)।
আরও পড়ুনঃ এই প্রথম! বুথের ভেতর শুধু নয়, বাইরেও লাইভ স্ট্রিমিং, কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের
অনুসূয়ার (Anusua Roy) বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের দাবি, বহুদিন ধরে জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষের সঞ্চার হচ্ছিল। বহু জনপ্রতিনিধি নিয়মিতভাবে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না, প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে সেই উদাসীনতা দূর করতেই সভাধিপতি এমন বার্তা দিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
পাল্টা বিজেপির এক নেতার কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে সরকার ও দল এখন একই হয়ে গিয়েছে। দলের লোক কাজ করছে না এটা বুঝতেই সাম্মানিক বন্ধ করার ভয় দেখানো হচ্ছে। সরকারি সাম্মানিক দল কীভাবে বন্ধ করতে পারে? এটা পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী।
উল্লেখ্য, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটেও ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল (Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয় জনপ্রতিনিধিদের দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তবে সেটা করতে গিয়ে দলের এক নেত্রী যেভাবে সরকারি সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।