বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে মিটতেই শিরোনামে ভোট পরবর্তী হিংসা। ৪ জুন ফল ঘোষণার পর রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর এসেছে। এবার যেমন খুন হলেন একজন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কর্মী। বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। TMC কর্মীক পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ে। মৃত TMC কর্মীর নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। ক্যানিং পূর্ব (Canning) বিধানসভার অন্তর্গত তামুলদায় থাকেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে তাঁর দুই বন্ধু তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। এদিকে ধীরে ধীরে রাত বাড়তে থাকে। অনেক রাত হয়ে গেলেও রবীন্দ্রনাথ বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে বেরোয়। সেই সময়ই দেখা যায়, বাড়ির অদূরে পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ।
TMC কর্মীর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের। ক্যানিংয়ের এসডিপিও রাম মন্দলজানান, এই খুনের ঘটনায় এখনও অবধি ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। হত্যার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুনঃ ২৮ লাখ টাকা, সঙ্গে ৮% হারে ৯ বছরের সুদ! রাজ্যের সরকারি কর্মীর পক্ষে বিরাট রায় হাই কোর্টের
এদিকে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রয়াত রবীন্দ্রনাথের পরিবারকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি তিনি বলেন, এই খুনের নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে কী অভিযোগ করা হয় দেখা যাক। এরপর তদন্ত করে যা মিলবে সেই অনুসারে কাজ করা হবে।
প্রয়াত TMC কর্মীর দেহে যে আঘাতের দাগ রয়ছে, সেটা দুর্ঘটনার কারণে হতে পারে, অথবা অন্য কোনও কারণবশতও হতে পারে। এই নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহত রবীন্দ্রনাথ TMC-র বুথ কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁকে যে দু’জন বন্ধু ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গেই আরও ৪জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকে TMC সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী জানান, নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বারবার ওই দু’জন বন্ধু তাঁর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যেত। স্থানীয় বিধায়ক শওকত বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের বুথ সেক্রেটারি। ভীষণ ভালো ছেলে। এখনও অবধি যা জানতে পারছি, পুলিশ তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত না হলে কিছু বোঝা যাবে না। সেই সঙ্গেই এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি বা অন্যকিছুর যোগ রয়েছে কিনা সেটাও তদন্তসাপেক্ষ বিষয়।