বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে, পরিবর্তনই একমাত্র সত্য! আর রাজনীতির দুনিয়ায় তো ‘বদল’ লেগেই থাকে। এবার যেমন বীরভূমের রাজনীতিতে এক নয়া ছবি দেখা গেল। একদা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ‘বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ (Kajal Sheikh) তাঁর কাছে চলে এলেন। কেষ্টও তাঁকে অবলীলায় কাছে টেনে নিলেন। তাহলে কি এখানেই দু’জনের দ্বৈরথে ইতি পড়ল? শুরু হয়েছে সেই জল্পনা।
বীরভূমে তৃণমূলের দুই ‘হেভিওয়েট’ অনুব্রত-কাজল (Anubrata Mondal)!
গত বছর তিহাড় থেকে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্ট ফেরার পর থেকেই বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে নয়া কোন মোড় আসে সেদিকে নজর ছিল সকলের। গত কয়েক মাসে একাধিকবার অনুব্রত ও কাজলের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এবার দেখা গেল, কেষ্টর চরণ-যুগল ছুঁয়ে প্রণাম করছেন কাজল শেখ। মাথায় হাত রেখে তাঁকে আশীর্বাদ করেন অনুব্রত।
সম্প্রতি জয়দেব-কেন্দুলীর মেলা উদ্বোধনে এই ছবি দেখা গিয়েছে। এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তাহলে কি বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে? দ্বন্দ্ব মিটিয়ে হাত মেলাতে চলেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) আর কাজল? এখন এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বড় খবর! তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন! সংক্রান্তিতে তোলপাড় বাংলা
এদিকে তিহাড় থেকে ফেরার পর থেকেই খানিকটা ‘নম্র’ মেজাজে দেখা যাচ্ছে অনুব্রতকে। আগের সেই চেনা দাপট যেন উধাও! তার ওপর খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। এরপরেই কেষ্ট বলেন, তিনি নেতা নন। দলের একজন সাধারণ কর্মী।
কয়েকদিন আগেই দেখা যায়, তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত কাজলকে বাড়িতে ডেকেছেন। এবার হাত বাড়িয়ে দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল। প্রকাশ্য মঞ্চে কেষ্টর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল তাঁকে। কাজলের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন ‘বড় দাদা’ অনুব্রত।
অন্যদিকে একদিক আগেই নানুরে প্রাক্তন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরী আক্রান্ত হন। এই রিঙ্কু অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁর অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই কাজল শেখের অনুগামী। অনুব্রত অনুগামী হওয়ার কারণেই তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল। যদিও অনেকের মতে, এই ঘটনা কাজল অনুগামীরা ঘটাননি। নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘মারধরের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে নানুরের বেশ কিছু যুবক রিঙ্কুর খোঁজ করছিলেন। কারণ জানি না। রিঙ্কুর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। তাঁদের ফোন ধরছিলেন না। সেটা থেকেই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকতে পারে হামলার ঘটনা। তবে রিঙ্কু এখন দলের কেউ নয়’।