বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরা (Tripura) আদালতের নির্দেশে অবশেষে বড়সড় স্বস্তি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিগত বেশ কয়েক মাস পূর্বে ‘সীতার পাতাল প্রবেশ’ প্রসঙ্গে একটি মন্তব্য করেন কুণাল এবং এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিন এ সকল মামলাগুলির শুনানি চলাকালীন তৃণমূল নেতাকে স্বস্তি দিয়ে আদালত নির্দেশ দেয় যে, শুনানি চলাকালীন কুণাল ঘোষকে সশরীরে হাজিরা দিতে আসতে হবে না।
এদিন আদালতের এই রায়ের পিছনে চার্জশিট তৈরিতেই গলদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। চার্জশিট তৈরির নিয়ম অনুযায়ী আইন না মানার কারণে আগামী সময়ে কুণালকে ত্রিপুরা আদালতে স্বশরীরে হাজিরা দিতে হবে না। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন পর্যন্ত আটকে গিয়েছে বলে খবর।
অতীতে মা সীতার পাতাল প্রবেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। পরবর্তীতে তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা থানায় কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়, যেগুলির শুনানি চলাকালীন এদিন ত্রিপুরা আদালতে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা।
আদালত সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে কুণালের আইনজীবীর তরফ থেকে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে আইন না মানার বিষয়টিকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয় এবং এরপর মামলার রায়দান স্থগিত রাখার পাশাপাশি পরবর্তীতে চার্জ গঠনও আটকে যায়। এদিন ত্রিপুরা আদালতের তরফ থেকে তৃণমূল নেতাকে স্বস্তি দিয়ে জানানো হয় যে, পরবর্তীতে মামলার শুনানি চলাকালীন তৃণমূল নেতাকে সশরীরে হাজির থাকতে হবে না।
শুনানি শেষে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সীতার পাতাল প্রবেশের ঘটনাটি সবার জানা। আমি শুধুমাত্র সেই বিষয়ে একটি মন্তব্য করেছিলাম। এটা অন্যায় নয়। বিজেপি কর্মীরা সব সময় জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আক্রমণ করত। সেই কারণেই আমি পাতাল প্রবেশের বিষয়টি এনেছিলাম।” এরপর কুণালের সাফ দাবি, “রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে কোনরকম ভাবে মেশানো উচিত নয়।”